একনজরে ফেসবুক ব্যবহারে মাউশির সতর্কতা
- কারা সতর্কবার্তা পেলেন: মাউশির আওতাধীন সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
- মূল আইন/নির্দেশিকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত) এবং সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫।
- প্রধান উদ্দেশ্য: সাইবার অপরাধ রোধ, গুজব নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন:
নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে (What the Directive Says):
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (Social Media Usage Guidelines 2019) এবং নবঘোষিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ (Cyber Security Ordinance 2025) অনুযায়ী এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করতে পারবেন না যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর কিংবা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি (Warnings of Disciplinary Action):
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি এই নির্দেশিকা বা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অমান্য করেন, তবে তা সরাসরি আচরণবিধি লঙ্ঘন (Violation of Code of Conduct) হিসেবে গণ্য হবে। এটি কেবল একটি বিভাগীয় অপরাধ নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ (Punishable Offense) হিসেবেও বিবেচিত হবে। সাইবার স্পেসে অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও দমনের জন্য ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
যাদের জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য (Who Should Follow):
- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন:
- সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক (Teachers)।
- স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী (Students)।
- শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী (Officials and Staff)।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাইবার স্পেসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং অপপ্রচার রোধে এই পরিমার্জিত সংস্করণ মেনে চলা এখন থেকে বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন:
‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর মূল ধারা ও শাস্তি (সংক্ষিপ্ত):
এই অধ্যাদেশটি মূলত সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধ দমনে কঠোর আইন হিসেবে কাজ করে:
মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার: যদি কেউ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে, তবে তাকে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
মানহানি ও অবমাননা: ডিজিটাল মাধ্যমে কারও মানহানি করলে বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিলে বিশেষ ধারায় বিচার এবং জেল-জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
ডেটা নিরাপত্তা (Data Privacy): অনুমতি ছাড়া অন্য কারও ব্যক্তিগত তথ্য (পাসওয়ার্ড, ছবি বা ডেটা) ব্যবহার বা চুরি করা এই আইনের অধীনে বড় অপরাধ।
হ্যাকিং ও সিস্টেম ক্ষতি: সরকারি বা বেসরকারি কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করলে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন: শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই আইন ভঙ্গ করলে তাদের বেতন বন্ধ, পদাবনতি বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:





