কম খরচে অধিক ফলনে শেরপুরে বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

বাদাম তুলছেন চাষিরা
বাদাম তুলছেন চাষিরা | ছবি: এখন টিভি
0

স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে অধিক ফলন এবং ভালো বাজারদরের কারণে দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন শেরপুরের কৃষকরা। এখানে উৎপাদিত বাদামের গুণমান ভালো হওয়ায় দেশব্যাপী এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হচ্ছে। আবাদের পরিধি আরও বাড়াতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালো কৃষি বিভাগ।

শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাড়ছে বাদাম চাষ। বাদামের দাম আগের তুলনায় অনেকটা বেশি হওয়ায় প্রতি বছর চরাঞ্চলে এ ফসলের চাষ বাড়ছে। এখানে উৎপাদিত বাদামের মান ভালো হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে চাহিদা।

চলতি মৌসুমে শেরপুর সদরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের চরমোচারিয়া, লছমনপুর, কামারের চর এবং নকলা উপজেলার চন্দ্রকোণা, চরঅষ্টধর, উরফা এবং পাঠাকাটাতে বাদামের চাষ বেশি হয়েছে। কৃষকরা জানান, বিঘাপ্রতি বাদাম চাষে খরচ তিন থেকে চার হাজার টাকা। যার বিপরীতে বিঘাপ্রতি মুনাফা হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। লাভ বেশি হওয়ায় তাই দিন দিন বাড়ছে বাদামের আবাদ।

বাদাম চাষিরা জানান, বাদাম চাষে সার প্রয়োজন হয় না বিষ লাগে না। ফলন ভালো পাওয়া যায়। আবার জমিতে বাদামের আবাদ শেষে সেখানে ধান বা ভুট্টার চাষ করতে পারবেন তারা। তারা এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করে থাকেন। সেখান থেকে তারা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ করেন।

আরও পড়ুন:

এদিকে, বাদাম রোদে শুকানো থেকে শুরু করে বাছাই করা পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে স্থানীয় নারী ও পুরুষদের কর্মসংস্থান।

বাদাম চাষের পরিধি বৃদ্ধি, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

শেরপুর উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যে মাটিতে অন্য কোনো ফলন হয়না সেখানে বাদাম চায় করা হচ্ছে। ফলে আমরা পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে পারছি। আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষক লাভবান হচ্ছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি।’

জেলায় এ বছর ১২৬ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১২৭ হেক্টর জমিতে।

এফএস