এরইমধ্যে শেরপুরের পাঁচটি উপজেলা ও চারটি পৌরসভা থেকে প্রায় ১২০টি বাসসহ শতাধিক ছোট-বড় মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তাতে উপস্থিতির দিক দিয়ে অতীতের সব আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে এই গণসংবর্ধনা। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এই সংবর্ধনায় অংশ নেবেন বলে আশা করছেন নেতারা।
শেরপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শওকত হোসেনন বলেন, ‘আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকেই অনেক নেতা-কর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। জেলার প্রায় সব বাস, মাইক্রোবাস রিজার্ভ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. সানসিলা প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের বিষয়। আমরা আশা করছি, উনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, লন্ডন স্থানীয় সময় সোয়া ৬টায় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। তাকে বহনকারী বিমানটি সকাল ১০টায় সিলেটে অবতরণ করবে, এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর বেলা ১২টায় ঢাকায় নামবে। দলের কাণ্ডারিকে বরণ করতে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি চলছে বিএনপিতে। দেশে ফেরার দিনটিকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশের আয়োজন করছে দলটি।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার উদ্দেশে লন্ডনে যান। সেখান থেকেই তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।





