২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মসদনে বসে জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর নেতৃত্বাধীন জান্তা সরকার। অথচ এ সামরিক অভ্যুত্থানে কয়েক মাস আগে অবসর নেয়ার কথা ছিল এ জান্তা প্রধানের।
২০১৭ সালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মিন অং হ্লাইং-এর তত্ত্বাবধানে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। বিরোধীদের শক্ত হাতে দমন করা এ সেনাপ্রধান নিজের কর্তৃত্ববাদী শাসনকে গণতান্ত্রিক বৈধতা দিতে এ নির্বাচনের আয়োজন করছে এমন সমালোচনা আছে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক মহলে। এরইমধ্যে এ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মিসহ জান্তাবিরোধীরা।
নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের আটকে রাখলেও একধাক্কায় ৩ হাজার ৮৫ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার। অভিযোগ প্রত্যাহার করে মামলা স্থগিত করা হয়েছে ৬ হাজার জনের। সব মিলিয়ে ৮ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তির খবর মিললেও গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সুচিকে ছাড়ার বিষয়ে এখনও অনড় জান্তা সরকার। এসব ডামাডোলের মধ্যেই কারাবন্দী নেত্রী অং সান সু চির জীবিত থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তার ছেলে।
আরও পড়ুন:
এবার আলোচনায় এসেছে সুচির নির্বাচনি অঞ্চল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কোন প্রার্থী?
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম দ্য সান বলছে, ইয়াঙ্গুনের দক্ষিণে অবস্থিত কাওহমু আসন, যেখান থেকে ২০২১ এর অভ্যুত্থানের আগে নির্বাচন করেছিলেন সুচি, সেখানে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন পিপলস পার্টির ৬০ বছর বয়সী নেতা কিয়াও কিয়াও হটওয়ে। যিনি মার্কি নামে পরিচিত।
১৯৮৮ সালে সু চির সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে প্রায় ১৫ বছর কারাবন্দী ছিলেন এ নেতা। অং সান সু চি আটক হওয়ার পর থেকে যে ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে যে রাজনৈতিক অনীহা তৈরি হয়েছে, তা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে ধীরগতিতে প্রচারণ চালালেও অনেকের কাছেই বিরাগভাজন হয়েছেন মার্কি। এরমধ্যে আছে সুচির ছেলে কিম অ্যারিস।
নতুন সংসদে এক চতুর্থাংশ আসন সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়াও, সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে সব দিক থেকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে।





