দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের সমীকরণ সবকিছুই মেলান মাঠে লড়াই করা ফুটবলাররা। লাল সবুজের জার্সিতে ম্যাচ জয়ে কত ত্যাগ-তিতিক্ষার গল্পই না লুকিয়ে থাকে দেশের ফুটবলারদের। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ফুটবলারদেরও রয়েছে অনেক চাপা কষ্ট। ফেডারেশনের গড়িমসিতে সময়মতো ম্যাচ ফি পান না তারা।
বছরে ফিফা উইন্ডোসহ এএফসি এবং বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ থাকে ৬ থেকে ৮টা। একটা ম্যাচে মাঠে নামলে নামমাত্র ২০ হাজার টাকা জমা পড়ে একজন ফুটবলারের অ্যাকাউন্টে। তবে নেপালের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি আর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গে ২২ বছর পর জেতা ম্যাচের ফি খেলোয়াড়দের এখনও বুঝিয়ে দেয়নি বাফুফে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফুটবলার শেখ মোরসালিন বলেন, ‘মিসিং হলে তারা পরের ম্যাচে কভার করে দেন। লাস্ট যে বোনাস ছিলো কিছুদিন আগেই আমাদের হ্যান্ডওভার করেছে। নেক্সট ক্যাম্পে হয়তো পেয়ে যাব পরের ফি।’
আরও পড়ুন:
এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কেনো এখনও ফুটবলারদের পারিশ্রমিক দেয়নি বাফুফে? এমন প্রশ্নে বাফুফের ওপর দায় চাপিয়েছেন ম্যানেজার আমের খান।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘গেম শুরু হয় তার আগেই চলে আসে সবার অ্যাকাউন্টে। যখন দায়িত্বে থাকি তখন বলি। এখন আছি দায়িত্বে রিমাইন্ডার দেই বার বার আরকি।’
এদিকে ফিফার সদ্য প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বাংলাদেশের। যেজন্য নভেম্বর উইন্ডোতে কোনো ম্যাচ খেলতে না পারাকে দায়ী করছেন এ ফুটবলার।
শেখ মোরসালিন আরও বলেন, ‘আমরা তো নেপাল ভুটানের সঙ্গেই খেলি। আশা থাকবে আরেকটু ভালো মানের টিম থাকলে আরও ভালো খেলতে পারব। সিঙ্গাপুরের সমমান কোনো টিমের সঙ্গে যদি খেলতে পারি তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভালো হবে।’
এশিয়ান বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে নামার আগে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চান মোরসালিনরা।





