তিনি বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ফয়সাল কোথায় আছে যদি জানতাম, ধরেই ফেলতাম। যদি আমাদের ওইরকম খবর থাকতো ধরেই ফেলতাম। কোথায় আছে? দেশেও থাকতে পারে, বাইরেও থাকতে পারে। কিন্তু আমরা সঠিক স্থান জানলে ধরে ফেলতাম।’ শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ইনকিলাব মঞ্চের পদত্যাগের দাবি থাকলেও তিনি পদত্যাগ করছেন না বলেও জানান তিনি। বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবির সমন্বয়ে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা ২০ জনকে গানম্যান সরবরাহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন ও দেশব্যাপী ডেভিল হান্ট অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
আরও পড়ুন:
হাদির মৃত্যুর ঘটনার পর এবং ওই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ৫০ জনের হিট লিস্টের ব্যাপারে জানিয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, এ ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য আছে কি না বা যদি না থাকে তাহলে তাদের থেকে তথ্য নেবেন কি না। জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, যারা হিট লিস্ট বা ভালনারেবল, তাদের আমরা এরই মধ্যে হাতিয়ার বা গানম্যান দিয়েছি। আর এটার ব্যাপারে আমাদের যে ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনগুলো আছে—ডিজিএফআই, এনএসআই এবং এসবি, তারা নিজেরা বসে কারা কারা ভালনারেবল তাদের একটা লিস্ট করা হয়েছে এবং তাদের গানম্যান দেয়া হয়েছে, অনেকে আবার গানম্যান নিতে চায়নি।’
কতজনকে কয়টি করে গানম্যান দেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২০ জনের মতো গানম্যান দেয়া হয়েছে। আর গানম্যান কিন্তু একজনই থাকে।’
যাদের গানম্যান দেয়া হয়েছে তারা সবাই রাজনীতিবিদ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি খানিকটা মজার সুরে বলেন, ‘এটার ডিটেইলটা যখন গানম্যানরা তাদের সঙ্গে ঘুরবে; তখন আপনারা একটু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে বের করে নিয়েন।’
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে তার পর্যবেক্ষণ কী এবং এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব না দিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
আজ একজন এনসিপির নেতাকে গুলি করার ঘটনা, ইনকিলাব মঞ্চ হাদি হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগে তদন্ত দাবি করেছে—এ প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতে সাংবাদিকদের কাছে একের পর এক প্রশ্ন চাইতে থাকেন তিনি। কিন্তু একটিরও উত্তর দেননি তিনি। তিনি প্রশ্নগুলো ভুলে যাবেন—সাংবাদিকরা এমন শঙ্কা প্রকাশ করলে তিনি বলেন, ‘ভুলে যাওয়াই দরকার আসলে।’





