বাংলাদেশ ফুটবলে হামজা-শমিতদের অন্তর্ভুক্তিতে দারুণ একটা বছর কেটেছে দেশের ফুটবল ভক্তদের। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুর, হংকং, চায়না থেকে ভারত সব ম্যাচে ছিল ফুলপ্যাক গ্যালারি। সঙ্গে দেশের তারকা ফুটবলারদের আগমনে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ছিল হুড়াহুড়ি। এরপর থেকে ক্রীড়াঙ্গনের তুমুল আলোচনা ঘরের মাটিতে ম্যাচ আয়োজন থেকে কত টাকা আয় করেছে বাফুফে?
তবে জুন থেকে ডিসেম্বর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা বেশ কয়েকটি হলেও অনুষ্ঠিত পঞ্চম সভায় মিললো এর উত্তর। তবে শুধু বিগত ম্যাচের আয়ের হিসেব দিতে পারলেও ব্যয়ের হিসেব রেখেছে এখনও গোপনে।
বাফুফে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘বাংলাদেশ হংকং ম্যাচে ১ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ম্যাচে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এখান থেকে এখনো আমরা নেইনি।’
আরও পড়ুন:
বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভায় হোম ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসেব ছাড়াও ছিল মোট ২২ এজেন্ডা। তবে এরমধ্যে আলোচনা হয়েছে গুটিকয়েক বিষয় নিয়ে। মাঠ সংকটে থাকা বাফুফে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে পরবর্তী ভেন্যু সিলেট হওয়ার কথা জানিয়েছে বাফুফে। এর জন্য ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে ফেডারেশনের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান।
আমিরুল ইসলাম বাবু আরও বলেন, ‘একটি মাঠ আমরা ১০০ শতাংশ কনফার্ম করেছি, সিলেট মাঠটি। সিলেট মাঠকে উপযুক্ত করার জন্য আমরা ফিফার কাছে অনুরোধ করব। সেখানে আমরা যেন ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলতে পারি। পর্যায়ক্রমে আমরা একের পর একেটি ধরব।’
তবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে পুরুষ এবং নারী ফুটবলারদের অর্জনে বাফুফে ঘোষিত অর্থ পুরষ্কারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার কথা থাকলেও অসম্পূর্ণ রেখেই সভা শেষ করেছে কমিটির সদস্যরা ।





