ক্রিসমাস ঘিরে অস্ট্রিয়ান দম্পতির অভিনব আয়োজন

ক্রিসমাস উপলক্ষে সাজসজ্জা
ক্রিসমাস উপলক্ষে সাজসজ্জা | ছবি: সংগৃহীত
0

প্রায় দশ লাখ ক্রিসমাস লাইট ও আড়াই শতাধিক বিভিন্ন প্রতিকৃতি দিয়ে বাড়িকে বানিয়েছে ক্রিসমাসের এক আশ্চর্যভূমি। অস্ট্রিয়ান দম্পতির এ অভিনব আয়োজন দেখতে ভিড় জমান হাজারো মানুষ। এদিকে সুইডেনে ক্রিসমাস ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে জিঞ্জারব্রেড প্রতিযোগিতা। যেখানে ঠাঁই পেয়েছে চকলেট ও বিস্কুটের তৈরি তাজমহল, আইফেল টাওয়ার, টাইটানিক, ল্যুভর মিউজিয়ামসহ নানা স্থাপত্য।

এ যেনো রূপকথার এক বাড়ি। অস্ট্রিয়ার স্পা শহর ব্যাড ট্যাটজম্যানসডর্ফে বড়দিন উৎসব উপলক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে ইউরোপের বৃহত্তম ক্রিসমাস হাউস। অস্ট্রিয়ান পরিবার তাদের নিজের বাড়িকে পরিণত করেছেন ক্রিসমাসের এক আশ্চর্যভূমিতে।

দশ লাখ ক্রিসমাস লাইট ও আড়াইশর বেশি বিভিন্ন প্রতিকৃতি দিয়ে সাজিয়েছেন তাদের প্রায় দেড় একরের এই বাড়ি। এই সাজসজ্জা করতে তাদের চার মাস সময় লেগেছে। কয়েক দশক ধরেই এই আয়োজন করে আসছে পরিবারটি।

অভিনব এ ক্রিসমাস হাউজ দেখতে প্রতি বছর ভিড় জমান হাজারো মানুষ। তাদের কাছ থেকে নেয়া হয়না কোনো ধরনের প্রবেশ মূল্য। তবে বেশ কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান থেকে তারা অনুদান পান। সম্প্রতি এই কাজের জন্য তারা সাড়ে ৩ লাখ ইউরো অনুদান পেয়েছেন। আগামী ৬ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে এ ‘শো প্রদর্শনী’।

আরও পড়ুন:

এদিকে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ক্রিসমাস ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে জিঞ্জারব্রেড প্রতিযোগিতা। এবারের থিম নকশা এবং স্থাপত্যের প্রতি ভালোবাসা। যেখানে চকলেট ও বিস্কুটের তৈরি দেড় শতাধিক প্রতিকৃতি প্রদর্শিত হচ্ছে।

তাজমহল, আইফেল টাওয়ার, টাইটানিক, লাবুবু পুতুলসহ প্যারিসের ল্যুভ মিউজিয়ামের চুরির ঘটনাও ঠাঁই পেয়েছে জিঞ্জারব্রেড প্রতিযোগিতায়।

৩৫ বছর ধরে জাদুঘরে ঐতিহ্যবাহী এ বার্ষিক প্রদর্শনীতে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী ও নানা পেশার মানুষ অংশ নিয়েছে। তিনটি বিভাগে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর।

এসএইচ