হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বই স্বপ্নকে বড় করে। একটি ভালো বই একজন শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনা এবং ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি ভালো বই একজন মানুষের জীবনও বদলে দিতে পারে। নিয়মিত পাঠাভ্যাস গড়ে উঠলে মননশীলতা বাড়ে, যুক্তিবোধের বিকাশ ঘটে এবং ব্যক্তি থেকে সমাজ সবাই উপকৃত হয়।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ক্যাপ্টেন জিয়াউল হাসান মাহমুদ, কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন লিটন, বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, প্রধান সমন্বয়ক আয়শা জাহান নূপুর, যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, সদস্য ইয়াতুননেসা রুমা, গবেষক জয়াশিস বনিক, এখন টিভি কুমিল্লা জেলার ব্যুরো চিফ খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি খালেদ বিন নজরুল, বাবুই প্রকাশনের প্রকাশক কাদের বাবুসহ কুমিল্লার বিভিন্ন বিশিষ্টজন।
আরও পড়ুন:
কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন লিটন বলেন, ‘বই পড়লে কাজে লাগবেই। একজন মানুষ যত বেশি পড়বে, তত বেশি আলোকিত হবে। জ্ঞান অর্জনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যমই হলো বই।’
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘কুমিল্লা জেলার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কলেজভিত্তিক বুক অলিম্পিয়াডের সূচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একই ধারায় সারাদেশে বইপাঠের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের বইমুখী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরা ও বিজয়ী ১০ জনকে সনদ ও বই প্রদান করা হয়। পুরো আয়োজনকে সফল করতে সহযোগিতা করেন স্বপ্ন ৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবেড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।
বিজয়ী সেরা দশজন হলেন যথাক্রমে লোকমান হোসাইন, নুসরাত জাহান মিমি, জাবেদ ব্যাপারী, জান্নাত আক্তার, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জুথী ভূষণ বিশ্বাস, আবির হোসে তন্ময়, হাসিবুর ইসলাম, চাঁদনী রানী, সাগর চন্দ্র দে।





