এ ‘অরবিটাল গার্ডিয়ান’ মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ ট্র্যাক করে মহাকাশযানের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হবে। চীনের পাশাপাশি এ ‘অরবিটাল গার্ডিয়ান’ ওয়ার্ল্ডওয়াইড কভারেজ দেবে।
মোট ১৫৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে তৈরি এ ‘অরবিটাল গার্ডিয়ান’ মূলত একটি রেসপন্সিভ লো আর্থ অরবিট মনিটরিং নেটওয়ার্ক। যার লক্ষ্য স্পেস ডেব্রিস বা মহাকাশ বর্জ্য ট্র্যাক করা, কলিশন রিস্ক ফোরকাস্ট করা ও স্পেস ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টে জন্য সহায়তা করা। এর ফলে স্পেস স্টেশন, স্পেসক্র্যাফট ও স্যাটেলাইটগুলিকে মহাকাশ-ভিত্তিক হুমকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
‘অরবিটাল গার্ডিয়ান’ পরিকল্পনার অধীনে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধ থেকে ধারাবাহিকভাবে ১৫৬টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এ ১৫৬টি স্যাটেলাইটে থাকবে ওয়াইড-ফিল্ড ক্যামেরা, ইনফ্রারেড ক্যামেরা, ইমেজিং ক্যামেরা, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সার্ভিলেন্স, মাল্টিস্পেকট্রাল ক্যামেরা, কম্পিউটিং ইউনিট এবং ইন্টেলিজেন্ট প্রসেসিং সফ্টওয়্যার।
এসব ইনস্ট্রুমেন্টে ‘অরবিটাল গার্ডিয়ান’ এর মূল লক্ষ্য পূরণে প্রাথমিক ভূমিকা পালন করবে। চীন মহাকাশে নিরাপত্তার ব্যাপারে বিগত দিনগুলোতে বেশ সচেতন ভূমিকা পালন করছে। চীনের ২০২২ সালের মহাকাশ সম্পর্কিত শ্বেতপত্রে ২০২৬ সালের মধ্যে কক্ষপথের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও মহাকাশ বর্জ্য অপসারণের প্রযুক্তি বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
এরইমধ্যে তারা মহাকাশে স্পেস ডেব্রিস মিটিগেশন টেকনোলজির স্যাটেলাইটও পাঠিয়েছে। এছাড়া গতমাসে চীনের শেনঝু–টুয়েন্টি স্পেসক্র্যাফট তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে ডক করা অবস্থাতেই স্পেস ডেব্রিসের আঘাতে পৃথিবীতে ফেরার অযোগ্য হয়ে পড়ে। এমনকি এ বছরই ইতিহাসে প্রথমবারের মতন স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ এড়াতে প্রথমবার নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
প্রাথমিকভাবে নিজেদেরসহ সামগ্রিকভাবে সকলের জন্য নিরাপদ মহাকাশ তৈরিতে চীনের এমন ইতিবাচক মনোভাব ও পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর মনে নতুন এক আশার সঞ্চার করছে।





