সুনামগঞ্জে বোরো মৌসুমের পর আমন ধান রোপন করে প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। কিন্তু কৃষকেরা যে পরিমাণ শ্রম দেন নানা কারণে সেই পরিমাণ ধান তারা উৎপাদন করতে পারছেন না।
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক কামাল হোসেন। গত বছর আমন আবাদ করতে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও সেই পরিমাণ ফসল তিনি উৎপাদন করতে পারেননি। কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগের পর্যাপ্ত তদারকির অভাবকে দায়ী করলেন তিনি।
কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে কোনো সহায়তা পাইনি। সার পাইনি, ঠিকসময়ে বিষ পাইনি। ফলে আমার ধান নষ্ট হয়েছে। সময়মতো ফসলে সার দিতে পারলে আমার ধান উৎপাদন ভালো হতো।’
শুধু এমন গল্প কামাল হোসেনের নয়, জেলাজুড়েই কৃষকেরা জলবায়ুর সঙ্গে যুদ্ধ করে হাওরে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে নানা ধরনের বাধা বিপত্তির মুখে পড়ছেন।
আরও পড়ুন:
হাওরের কৃষকরা জানান, কৃষি কর্মকর্তারা কেউ আসেন না। তারা ফসল দেখেন না। তাদের পরামর্শ ও কৃষি পণ্য দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে না বলে জানান কৃষকরা।
তবে কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করলেন কৃষি বিভাগ। মাঠ পর্যায়ে ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি অফিসাররা কাজ করছে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের জন্য লাভজনক ফসল বিশেষ করে সবজি আগাম শীতকালীন সবজি, সরিষা, মাসকালাই চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবে আমরা সেসমস্ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আসা করি সুনামগঞ্জের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল থেকে লাভবান হবে।’
চলতি বছর জেলায় ৮৩ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে প্রায় ৮৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর।





