ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে এভাবেই দখলদারিত্ব বাড়াচ্ছে ইসরাইল। আত্মসমর্পণের চেষ্টা করার পরও গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর) গুলি করে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। জেনিন শহরে ইসরাইলি বর্বরতার দৃশ্য ধারণ করেছে রয়টার্সের এক সাংবাদিক। ভিডিও দেখার পর এটিকে জঘন্য হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর অন্যের ভূখণ্ডে ঢুকে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে বরাবরের মতোই এটিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হিসেবে আখ্যা দিলো ইসরাইল।
এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে ইসরাইল। আজ ভোররাতে দামেস্কের কাছাকাছি বিভিন্ন গ্রামে ইসরাইলি হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন ইসরাইলি সেনাও। এতে বেইত জিন এলাকার বহু পরিবার ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জানা গেছে, রাতের আঁধারে অনুপ্রবেশের পর সিরিয়া ৩ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ইসরাইলি সেনাদের ঘিরে ফেলে। সেনাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের পতনের পর দক্ষিণ সিরিয়ায় দখল ও নিয়ন্ত্রণ আরও সম্প্রসারণ করেছে ইসরাইল। দখলকৃত গোলান মালভূমি লাগোয়া কুনেইত্রা ও দামেস্কে ইসরাইলের অনুপ্রবেশ, বোমাবর্ষণ ও অপহরণের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে শুক্রবারও যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। হতাহতের শিকার হচ্ছেন অনেকে। এতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
হিজবুল্লাহর সঙ্গেও যুদ্ধবিরতি চুক্তির বর্ষপূর্তির দিনে লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। গতকাল দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইল। হামলায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি তাদের। হিজবুল্লাহর সশস্ত্র শক্তি-সামর্থ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি হামলা বাড়াচ্ছে তেল আবিব।





