গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বুনিয়া সোহেল তার বাসস্থানে ককটেল বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তথ্যের ভিত্তিতে চারটি অপারেশনাল পেট্রল দল দ্রুত অভিযানে অংশ নেয়। একটি বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলায় অবস্থানরত বুনিয়া সোহেল সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার কাছে থাকা অবৈধ দ্রব্য ফেলে রেখে যায়।
উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, ৭৭টি প্রক্রিয়াধীন ককটেল বোমা, সামুরাই ধরনের চারটি ধারালো তলোয়ার, মাদক বিক্রির নগদ ৪ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, ৪৯০ পিস ইয়াবা, ২ হাজার ৮০ প্যাকেট হেরোইন, ককটেল বোম তৈরির জন্য ব্যবহৃত চার ধরনের স্প্লিনটার ও ৪০০ গ্রাম গানপাউডার।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘জেনেভা ক্যাম্পের বিল্ডিংগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে লেগে থাকায় এবং এলাকাটি খুব সংকীর্ণ হাওয়ায় মূল আসামিরা কয়েকটি বিল্ডিং টোপকিয়ে পালিয়ে যায়। তবে আমরা যে বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করতে পেরেছি সেগুলো দ্বারা হয়তো ঢাকা শহরে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার পরিকল্পনা ছিল। এসব আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখব।’
উদ্ধারকৃত মাদক, নগদ অর্থ ও বিস্ফোরকসমূহ মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় পলাতক বুনিয়া সোহেলকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।





