যুদ্ধবিরতির মধ্যেও একটি স্বস্তির সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দেখা পাননি গাজাবাসী। শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞের নিষ্ঠুর খেলায় নিদারুণ কষ্টে দিন-রাত কাটছে অসহায় ফিলিস্তিনিদের।
বাস্তুচ্যুত হওয়ায় থমকে গেছে গাজার আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীদের স্বপ্নও। তবে অস্তিত্বের প্রশ্নে; কঠিন এই জীবন যুদ্ধে হার মানতে নারাজ অনেক শিক্ষার্থী। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে বিশ্ববিদ্যালটির ক্যাম্পাসে থাকা শত শত তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক তরুণ-তরুণী। তাদের একজন ২০ বছর বয়সী ছাত্রী আল-সাঈদী।
বাঁচার সংগ্রামের মধ্যে পড়াশোনাও অব্যাহত রাখতে হচ্ছে শিক্ষার্থী আল-সাঈদী, এরকম ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র ভরসা এখন অনলাইন ক্লাস। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পড়াশোনা করতে না পারার আক্ষেপ আল-সাঈদীর মতো শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করা, সহপাঠীদের সঙ্গে বসে ক্লাস করা। আমার অনলাইনে ক্লাস করতে ভালো লাগে না। আমি জীবনে যেভাবে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, তা করতে পারছি না।’
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রভাব স্বপ্নভঙ্গ, দুর্ভোগ ও করুণ বাস্তবতার মুখোমুখি গাজা উপত্যকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে অনেক ঘাটতি থেকে যায় বলে মনে করছেন আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষাগুরু।
আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফয়েজ আবু হাজার বলেন, ‘এটা সত্যি যে অনলাইনে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চাহিদা পূরণ সম্ভব না। শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞানী ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে সশরীরে পাঠদানের বিকল্প নেই।’
ধ্বংসস্তূপের নগরীতে বাসস্থান, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণে চলমান লড়াইয়ের পাশাপাশি; শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট মোকাবিলায়ও গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরাইলি বর্বরতায় কয়েক দশকের প্রবৃদ্ধিতে ধস নামায় গাজা উপত্যকার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তাই এখন একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছে।





