২০১২ সালের পর দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ফ্লাড লাইটের আলোর মতো জ্বলে উঠতে, শুরু থেকে বেশ দাপুটে ফুটবলই খেলে রিতু, শামসুন্নাহার জুনিয়ররা। তবে বারবার অ্যাটাকের পরও দলে যোগ্য ফিনিশারের অভাব, সেই সাথে প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া গোলরক্ষকের বিচক্ষণতার সামনে পরাস্ত হয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
তবে প্রতিপক্ষের মাঠে চাপে থাকা মালয়েশিয়া ছিল ভালো একটা সুযোগের অভাবে। ম্যাচের আধঘণ্টা পূর্ণের আগেই সে সুযোগটা পেয়েও গেল প্রতিপক্ষ দল। পিটারের হাই লাইন ডিফেন্স কৌশলে শুরু থেকে খেলা আফিউদাদের রক্ষণ ভেদ করেন মালয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড নুর আইনশাহ বিনতে মুরাদ। মুহূর্তেই স্তব্ধ পুরো স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন:
বিরতির আগে দু’বার সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় লাল-সবুজ মেয়েরা। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ঋতুপর্নারা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে মনিকার জোরালো শট সফররত রক্ষণ আটকে দিলে সমতায় ফেরার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ দল।
এরপর বল দখলের লড়াইয়ে দাপট দেখায় মালয়েশিয়া। সে সময় দু’বার দলের বিপদে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন গোলপোস্টের নিচে দাড়িয়ে থাকা রূপনা চাকমা। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার সমতায় ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যায় প্রমিলা ফুটবলাররা। তবে রেফারির বাঁশি বাজলেও সমতায় ফেরার লড়াইয়ে জিততে পারেনি পিটারের হাই লাইন ডিফেন্স তত্ত্বে খেলা আফিইদা, সাগরিকারা।





