সরকারি অচলাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলে প্রভাব

বিমানবন্দরে অপেক্ষায় যাত্রীরা
বিমানবন্দরে অপেক্ষায় যাত্রীরা | ছবি: সংগৃহীত
0

নভেম্বরের শেষে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলের প্রত্যাশা থাকলেও রেকর্ড ৪৩ দিনের সরকারি অচলাবস্থায় তা ভেস্তে গেছে। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি ফ্লাইটের আশা করা হলেও সোমবার (২৪ নভেম্বর) পর্যন্ত ফ্লাইট বুকিং ছিল প্রায় পাঁচ শতাংশ কম। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে এবং যাত্রীদের ভ্রমণে উৎসাহিত করছে ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অচলাবস্থার কারণে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।

পশ্চিমা দেশগুলোতে এভিয়েশন খাতের অন্যতম ব্যস্ত সময় বছরের শেষভাগে বিশেষ করে নভেম্বরের শেষে থ্যাংকসগিভিংয়ের সময়ে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এবছর রেকর্ড শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে এভিয়েশনে। আশা করা হয়েছিল, এবছর এই সময়ে ষাট লাখের বেশি মার্কিন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চলাচল করবে। যা ২০২৪ সালের তুলনায় দুই শতাংশ বেশি। তবে সে তুলনায় ফ্লাইট বুকিং খুবই কম। শাটডাউনের শেষ সপ্তাহে ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যখন ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দেন তখন সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে।

৩১ অক্টোবর পর্যন্ত থ্যাংকসগিভিংয়ের পাঁচদিনের ছুটির জন্য ফ্লাইট বুকিং ছিল গত বছরের তুলনায় ১.৫৬ শতাংশ বেশি। তবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনের ছুটির সময়ে ফ্লাইট বুকিং গত বছরের চেয়ে ৪.৪৮ শতাংশে কমে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই অচলাবস্থার কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে। আবার ফ্লাইট বুকিং করেও বাতিল করে অনেকে। যাত্রীদের জন্য সুখবর হলো, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।

আরও পড়ুন:

অ্যাটমোস্পেয়ার রিসার্চ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হেনরি হার্টভেল্ট বলেন, ‘অচলাবস্থায় অনেকের জন্যই সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেকে ভ্রমণ বাতিল বা স্থগিত করেছে। অনেকের ব্যবসায়িক, অনেকের আবার ব্যক্তিগত। যাত্রীদের জন্য ভালো খবর হলো, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।’

যদিও এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এই সময়ে যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে। অচলাবস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠার কথাও জানায়।

ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড বলেন, ‘আমাদের জন্য, এই সপ্তাহটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। থ্যাংকসগিভিং এর জন্য আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা আছে। আমরা সংকট কাটিয়ে উঠেছি। কর্মীরা কাজে ফিরতে পেরে খুবই খুশি।’

শাটডাউন ও অর্থনৈতিক অচলাস্থার কারণে থ্যাংসগিভিংয়ের সময়ে ফ্লাইটের কেমন চাহিদা থাকতে পারে তা বোঝা মুশকিল হয়ে উঠেছিল। যদিও কিছু কিছু এয়ারলাইন্স প্রায় দুই লাখ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট যোগ করেছে। কারণ শাটডাউনের পরে গ্রাহকরা আবারও ফ্লাইট বুক করতে শুরু করেছেন।

সেজু