আজ (সোমবার, ২৪ নভেম্বর) আইইডিসিআরের নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ন্যাশনাল এএমআর সার্ভেলেন্স রিপোর্ট ২০২৫’ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রফেসর ড. জাকির হোসেন হাবিব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশের ৯৬ হাজার ৪৭৭ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পাঁচটি আইসিইউতে ৭১ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হলে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যান-ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট (পিডিআর) জীবাণু সব নমুনার ৭ শতাংশ এবং আইসিইউতে ৪১ শতাংশ পাওয়া গেছে। মাল্টি-ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট (এমডিআর) জীবাণু সব নমুনার ৪৬ শতাংশ এবং আইসিইউতে ৮৯ শতাংশ দেখা গেছে।
এছাড়া, হু ওয়াচ-গ্রুপ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়ে ৭৭ শতাংশ থেকে ৯০.৯ শতাংশ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ছিল সেফট্রিয়াক্সোন (৩৩ শতাংশ) এবং মেরোপেনেম (১৬ শতাংশ)।
প্রফেসর হাবিব সতর্ক করে বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়মহীন ও অতিরিক্ত ব্যবহার এএমআরকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এটি এখন দেশের জন্য বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি।’





