কাজু বাদামের উপকারিতা
- কাজু বাদামে থাকা ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং হজম সংক্রান্ত জটিলতা কমায়।
- কাজু বাদাম শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- এ বাদামে থাকা জিয়াজ্যানথিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্য বেশ উপকারী। এটি চোখের রেটিনাকে ধুলো এবং অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- কাজু বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে তোলে। তাই নিয়মিত এ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে সহায়ক।
- কাজু বাদাম মস্তিষ্কের বিকাশে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। তাই সব বয়সের মানুষের এ বাদাম পরিমিত খাওয়া উচিৎ। বিশেষ করে শিশুদের মস্তিষ্কের সুষ্ঠ বিকাশের জন্য ছোটবেলা থেকেই এ বাদাম খাওয়ানো উচিৎ।
- ভালো ঘুমেও এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। কাজু বাদাম ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ভালো ঘুমেও সহায়তা করে।
- পরিমিত পরিমাণে কাজু বাদাম খেলে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখতে পারে।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম:
কাঙ্ক্ষিত উপকার পেতে কাজু বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। এরপর তা সকালে খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে এ বাদাম মাত্রাতিরিক্ত খেলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। কেননা এটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। তাই এটি অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।
অনেকে লবণ বা চিনি দিয়ে এ বাদাম খেয়ে থাকেন। তবে কাজু বাদাম লবণ বা চিনি ছাড়া খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। এছাড়া এ বাদাম অন্যান্য শুকনো ফল বা বাদামের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেতে অনেককে এমন মিশ্রণের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতেও দেখা যায়।
কাজু বাদাম বিভিন্ন রান্না বা খাবার পরিবেশনে যেমন পোলাও, বিরিয়ানি, সেমাই, ফিরনি, আইসক্রিম, ফালুদা ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এ বাদাম এ খাবারগুলোর স্বাদে এক অন্য মাত্রা যোগ করে। কাজু বাদাম সালাদ তৈরিতেও ব্যবহার হয়ে থাকে।




