তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১৭ লাখ টিকা মাঠ পর্যায়ে দেয়ার কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। গবাদিপশুর অন্যতম ক্ষুরা রোগ নির্মূলর মুক্ত অঞ্চল হিসেবে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ ও ভোলায় টিকাদান কার্যক্রম চলছে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ছাগলের মারাত্মক সংক্রামক রোগ পিপিআর নির্মূলে প্রায় ৬ কোটি ডোজ টিকা মাঠ পর্যায়ে দেয়া হয়েছে। ফিড তৈরির কারখানাগুলোর বিদ্যুতের দাম কমানোর চেষ্টা চলছে।’ উৎপাদন খরচ কমিয়ে ফিডের দাম কমাতে চায় মন্ত্রণালয় বলেও জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, কোনো সরকার একদিনে কাজ শেষ করতে পারেনা। বর্তমান সরকার অনেক কাজ এগিয়ে রেখে যাচ্ছে। যা পরবর্তী নির্বাচিত সরকার শেষ করবে।’
উল্লেখ্য আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ সপ্তাহ চলবে। আগামী বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালা এবং প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের জন্যে ভিডিওতে শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।
প্রাণিসম্পদ প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে জাতীয় প্রাণিসম্পদ পদক প্রদান, প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, নিরাপদ খাদ্য, পশুপালন, দুগ্ধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে সেমিনার ও আলোচনা, ফুড ফেস্টিভ্যাল ও প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও কেন্দ্রীয় সমাপনী অনুষ্ঠান এবং সকল বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যালি, আলোচনা সভা, প্রদর্শনী, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির জন্য ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প, বিনামূল্যে কৃমিনাশক বিতরণ, কৃত্রিম প্রজনন সেবা ও ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রাণিসম্পদ টেকসই উন্নয়নে তরুণ ও নারী উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতবিনিময় সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, দেশিয় জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদির প্রদর্শনী থাকবে যা দেশীয় প্রাণী সম্পদের বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা দেবে। একই সাথে বেসরকারি খাতে পোল্ট্রি, দুগ্ধ জাত পণ্য, প্রাণী ওষুধ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি প্রদর্শিত হবে।





