পাট চুরির অভিযোগের জেড়ে হামলা-ভাঙচুর; একই পরিবারের ৫ সদস্য আহত

হামলা চিকিৎসাধীন আহতরা, ইনসেটে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলার মুহূর্ত
হামলা চিকিৎসাধীন আহতরা, ইনসেটে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলার মুহূর্ত | ছবি: এখন টিভি
0

ফরিদপুরে পাট চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে চুরি হওয়া বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ১০ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় আজ (শুক্রবার, ২১ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী ইউসুফ শেখ (৬৭)।

আহতদের মধ্যে রয়েছে তার ছোট ভাই ইউনুস শেখ (৬৫) ও তার মেয়ে সানজিদা শেখ জিমি (২০), আরেক ভাই মোশারফ শেখ (৬২) ও তার ছেলে সজল শেখ (২০) এবং ভাতিজা স্বাধীন শেখ (১৮)। তারা সকলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজিওলিটি ও নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ইউসুফ শেখ অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে তার ঘরে থাকা ৪০ কেটি পাট চুরি করে নেয়ার চেষ্টা করে একই গ্রামের মোহাম্মাদ খানের ছেলে মেহেদী খান (১৮)। তখন তিনি বিষয়টি দেখে মেহেদীকে হাতেনাতে আটক করলেও এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন রাতে স্থানীয় সালিসে এর মীমাংসা হয়।

এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং বাড়িতে থাকা সদস্যদের দেশিয় অস্ত্রসহ রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত কলেজ শিক্ষার্থী সানজিদা শেখ জিমি বলেন, ‘চোরকে আমরা পুলিশে দিতে চাইলে স্থানীয় জামায়াত নেতা লিয়াকত খান ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। গতকাল বিকালে আমার দুই চাচাতো ভাইকে রাস্তায় পেয়ে মেহেদীসহ কয়েকজন মারধর করে। এরপর ২০ থেকে ৩০ জন রামদা নিয়ে অতর্কিতভাবে বাড়ির মধ্যে ঢুকে ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় তাঁরা যাকে পায় তাকেই মারধর করে। বাড়িতে থাকা টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং ৪টি ঘর ভাঙচুর করে।’

এদিকে পাল্টা অভিযোগ করেন জামায়াত নেতা লিয়াকত খান। তিনি দাবি করেন এ ঘটনায় তার পক্ষের আরও ৫ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, ‘আমার ভাতিজা মেহেদী ও ইউসুফের ভাতিজা আরাফাত এক সঙ্গে চলাফেরা করে থাকে। আরাফাত নিজেই পাট চুরি করে নিয়ে আসার জন্য মেহেদীকে ওই বাড়িতে পাঠিয়েছিল। এরপর তারা ব্যাপক মারধর করে। গতকাল প্রথমে মেহেদীর মা রহিমা বেগম তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে আসতে গেলে মারধর করে, এসব দেখে কয়েকজন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। এরপর এ ঘটনা ঘটে।’

এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি আমি হাতে পাইনি, খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এএইচ