নিহত বৃদ্ধের নাম কাজিম আলী (৭৫)। তিনি পলাশ উপজেলার বাসিন্দা এবং আহত গুরুতর তিনজন নরসিংদী শহরের বাসিন্দা। নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, গাবতলী মাদ্রাসার পেছনের একটি গলিতে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের উপর থেকে ইট খসে পড়ে পাশের একতলা একটি ভবনের ছাদের কার্নিশে। সেখান থেকে কার্নিশ ভেঙে নিচে পড়লে এক শিশুসহ মোট তিনজন আহত হয়। এরপর তাৎক্ষণিক আহতদেরকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:
একই সময়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহর থেকে মৃদু ও মাঝারি আহত অবস্থায় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে আরও প্রায় ৪০ জন মৃদু ও মাঝারি আহত অবস্থায় চিকিৎসা নেয়।
শিশুসহ গুরুতর ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় পাঠায় নরসিংদী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, পলাশে একটি মাটির দেয়াল ধসে পড়ে ভূমিকম্পের সময়। এ সময় তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে বের হতে গিয়ে ওই বৃদ্ধর শরীরের ওপর পড়ে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত ৩ জন ছাড়া বাকিরা সবাই মাঝারি ও মৃদু আহত। দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে বেশিরভাগই হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে পায়ে এবং হাতে ব্যথা পেয়েছেন এবং আতঙ্কে প্যানিক অ্যাটকের শিকার হয়েছেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘মাটির দেয়াল ছিল সেখানে। সেই দেয়াল ধসে বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।’





