আয়তনে বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় শুধু ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যাই পাঁচ লাখ, তথ্য দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
মেটা মালিকানাধীন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও থ্রেডস ব্যবহারকারী অস্ট্রেলিয়ান কিশোর-কিশোরীদের বার্তা দিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে দ্রুত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হবে বলে। দেশটিতে ১৬ বছরের কমবয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর সামনে রেখে দেয়া হচ্ছে এ বার্তা।
মেটা জানিয়েছে, ১৩ থেকে ১৫ বছরের ব্যবহারকারী যারা, তাদের ক্ষুদে বার্তা, ইমেইল ও ইন-অ্যাপ নোটিফিকেশন দেয়া হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলেও, অ্যাকাউন্টগুলো ডিঅ্যাক্টিভেট করা শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর থেকেই। একই দিন থেকে মেটার কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও নতুন করে আর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না ১৬ বছরের কমবয়সীরা।
আরও পড়ুন:
অ্যাকাউন্ট খোলার বয়স হলে যেন তাদের বার্তা দেয়া যায়, তা নিশ্চিতে কিশোর ব্যবহারকারীদের তথ্য হালনাগাদ রাখতে বলছে মেটা। অ্যাকাউন্ট বন্ধের আগে নিজেদের পোস্ট, ভিডিও ও মেসেজ ডাউনলোড ও সেইভ করেও রাখতে পারবে ব্যবহারকারীরা।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়সে পৌঁছে থাকলে, ফেসিয়াল এইজ স্ক্যানের জন্য ভিডিও সেলফি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে তারা। দেয়া যাবে গাড়িচালকের লাইসেন্সসহ যেকোনো সরকারি পরিচয়পত্রও। বয়স যাচাইয়ে এসব পদ্ধতি চলতি বছরের শুরুতে পরীক্ষা করে দেখেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এইজ চেক সার্টিফিকেশন স্কিম (এসিসিএস)।
শিশুদের শৈশব রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। শুধু মেটা নয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে টিকটক, ইউটিউব, এক্স, রেড্ডিটসহ আরও কিছু প্ল্যাটফর্ম। নিয়ম ভাঙলে এসব প্রতিষ্ঠানকে অস্ট্রেলিয়ান মুদ্রায় পাঁচ কোটি ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে আইন কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। বিরোধিতা করলেও এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মেটাসহ সব প্রতিষ্ঠান।
ডিসেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক হচ্ছে নিউজিল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডসেও। বিশ্বের বাকি দেশগুলোতে যা কার্যকর হবে জানুয়ারি মাস থেকে।





