গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন ফিলিস্তিনিরা

গাজা পুনর্গঠনে কাজ করছেন
গাজা পুনর্গঠনে কাজ করছেন | ছবি: এখন টিভি
0

গাজা উপত্যকা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন ফিলিস্তিনিরা। তাদের সহায়তায় পাশে রয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিসহ বেশ কয়েকটি এনজিও। তাদের এ ক্যাম্পেইনে ধীরে ধীরে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা উদ্যোক্তাদের।

দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে গাজা যুদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যখন উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চলছে, তখন একাধিকবার উঠে এসেছে গাজা পুনর্গঠনের ইস্যু। গাজা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে দেয়া হয়েছে নানা ফর্দ।

গেলো ফেব্রুয়ারিতে গাজা পুনর্গঠনে প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেন, উপত্যকাটি থেকে ৫০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ সরাতে সময় লাগবে অন্তত ২১ বছর। আর এতে খরচ হবে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ। যদিও এর অর্থায়নে সম্মত নয় আরব দেশগুলো। আর গেলো অক্টোবরে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ৭০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে গাজা পুনর্গঠনে।

এতো অসম্ভবের মাঝে আশার আলো দেখালো খোদ গাজাবাসী। বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে সেখান থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে লেগে পড়েছে তারা। জাতিসংঘের উদ্যোগে শনিবার থেকে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেন কয়েকশো ফিলিস্তিনি।

আরও পড়ুন:

ফিলিস্তিন এনজিওকর্মী আমজাদ আল-শাওয়া বলেন, ‘বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছি গাজার দুর্দশা কমিয়ে সবাই এক হয়ে কাজ করছি এখানে। জাতিসংঘসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করছে। সবাই ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

গাজায় গেলো দুই বছরে ৬০ মিলিয়ন টনের বেশি কংক্রিট ও আবর্জনা তৈরি হয়েছে। গাজাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে তা সরানোর কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানায় এর উদ্যোক্তারা।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির কর্মকর্তা আলেসান্দ্রো মারাকিক বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় পাশে রয়েছি। গাজা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। সময়ের সঙ্গে ভালো সারা পাবো বলে আশা করছি।’

এ ক্যাম্পেইনে ধীরে ধীরে গাজার বিপুল সংখ্যক মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

এফএস