পুলিশ জানায়, জুলেখা বেগমের সাথে গার্মেন্টস কর্মী শেরপুরের রতন মিয়ার বিয়ে হয় ৯ বছর আগে। পরে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। দুবছর আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে দুবাই যান জুলেখা বেগম। সম্প্রতি দেশে ফিরে বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভুবনকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমিরখাঁকুড়া গ্রামের নিজ পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ফের বিদেশ যাওয়া নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল তার।
গতকাল গাজীপুর থেকে বাড়িতে যান গার্মেন্টস কর্মী স্বামী রতন মিয়া। রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে চিৎকারের শব্দ পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রতন ও তার মেয়ে নুড়িয়ার মরদেহ এবং আহত অবস্থায় রতনের স্ত্রী জুলেখাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। পরে গুরুতর অবস্থায় রতনের স্ত্রী জুলেখাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন:
জুলেখার দাবি, মধ্যরাতে মেয়ে নুড়িয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার পর তাকেও হত্যার চেষ্টা করে স্বামী রতন মিয়া। পরে নিজেই গলাকেটে আত্মহত্যা করে সে। এ ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে জানানো হয়। তবে, কে কাকে হত্যা বা হত্যার চেষ্টা করেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর স্বামী রতন মিয়ার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িসহ অনেকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।





