রক্ষকই যখন ভক্ষক। বিসিবির শীর্ষপদেই কি ঘাপটি মেরে বসে আছেন নারী ক্রিকেটারদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ব্যক্তিরা?
নাজমুল আবেদিন ফাহিম। গেল কমিটির সহ-সভাপতি আর বুলবুলের নেতৃত্বে নবগঠিত কমিটির পরিচালক। নিপাট ভদ্রলোক আর সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই সুপরিচিত। অথচ মুখোশের আড়ালে ভিন্ন চেহারার অভিযোগ অনেকের। এর আগে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান/ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল। সেসময়ে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল?
সম্প্রতি সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পর থেকে ক্রীড়াঙ্গনে তোলপাড় চলছে। এসব নিয়ে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে রীতিমতো সাপের সন্ধান পায় এখন টেলিভিশন। এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ক্রীড়া পরিষদে নাজমুল আবেদীন ফাহিমের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। নারী ক্লাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে করা সেই স্পর্শকাতর চিঠিতে তার নামে উঠে আসে। নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বয়স চুরি করে বয়সভিত্তিক দলে অন্তত ১০ জন ক্রিকেটারকে খেলানোর অভিযোগ তার নামে। এ নিয়ে গেল (রোববার, ৯ নভেম্বর) এখন টেলিভিশনের স্পোর্টসবিষয়ক অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন:
এরপর এখন টেলিভিশনের হাতে আসে আরও গুরুতর তথ্য। দল গঠনে দুর্নীতি ও অনিয়ম পাওয়া গেছে জানিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে বিসিবিকে ১৭ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যদিও সে তদন্ত প্রতিবেদন আর আলোর মুখ দেখেনি। বিসিবির পক্ষ থেকেও সেটি পুরোপুরি চেপে যাওয়া হয়। অন্তত ফাহিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কোনো কিছু বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এসবের বাইরেও এখন টেলিভিশনের হাতে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা হতে থাকে। বিসিবির এ পরিচালকের বিরুদ্ধে নারী ক্লাবগুলোকে কুক্ষিগত করে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলার অভিযোগ তোলে নারী ক্লাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন । এসব অভিযোগ নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলাও দায়ের করে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।
সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একের এক অভিযোগে তটস্থ বিসিবি। জাহানারা আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের ওপর আসা গুরুতর অভিযোগের আদৌ কোনো তদন্ত হবে কি?





