‘নির্বাচনের কাউন্টডাউন ভেতরে ভেতরে শুরু, অপেক্ষা নির্দিষ্ট তারিখের’

নির্বাচন কমিশনের লোগো, ভোটের প্রতীকী
নির্বাচন কমিশনের লোগো, ভোটের প্রতীকী | ছবি: এখন টিভি
1

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর ৮৫ থেকে ৯০ দিন বাকি রয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ভেতরে ভেতরে ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে, এখন কেবল নির্দিষ্ট তারিখের জন্য অপেক্ষা। আজ (সোমবার, ১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড) অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বসে বসে আমি হিসাব করেছি, আপনাদের হাতে আর আছে সর্বোচ্চ ৮৫ থেকে ৯০ দিন আছে। সর্বোচ্চ ৯০ দিন সামনের ইলেকশনের জন্য বাকি। এ মাসের ২০ দিন, ডিসেম্বর মাসের ৩০ দিন, জানুয়ারি মাসের ৩০ দিন। এ মিলে হলো ৮০ দিন।’

ভোটের জন্য আর তিন মাসের বেশি সময় নেই উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘তাহলে আমাদের হাতে কিন্তু তিন মাস সময় নেই। কাউন্টডাউন কিন্তু শুরু হয়ে গেছে ভেতরে ভেতরে। শুধু অপেক্ষা তারিখটা সুনির্দিষ্ট করে বলা। এরপরেও কি আপনাদের কারো মনে দ্বিধা, সংশয়, ভয়, সংকোচ আছে যে, ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে না?’

বর্তমান নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের চেষ্টা ও প্রস্তুতি নিয়েছে বলে কর্মশালায় উল্লেখ করেন।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন জিহাদ ঘোষণা করেছে।’

আরও পড়ুন:

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলার ৭০ জন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসাররা অংশ নেন। কর্মশালায় বক্তারা কর্মকর্তাদের দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে নানা দিকনির্দেশনা দেন।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রশাসন, পুলিশ ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরপেক্ষতা, সাহস ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এককভাবে কেউ ভালো নির্বাচন করতে পারে না—সম্মিলিত প্রয়াসে সফল করতে হবে।’

কর্মশালায় প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিতের দায়িত্ব আপনাদের হাতে। দায়িত্ব পালনকালে কোনো প্রকার চাপ, ভয় বা প্রভাবকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা হচ্ছে জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা। এটি সম্মানের বিষয় তাই সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

এসএস