সংঘর্ষ এড়াতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নাসার সঙ্গে চীনের যোগাযোগ

চীনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
চীনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ | ছবি: সংগৃহীত
0

কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ এড়াতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করলো চীন। অরবিটাল কোঅপারেশনে প্রথমবারের মতন এ ঘটনা ঘটলো, যেখানে চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন কক্ষপথে সম্ভাব্য স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ এড়াতে কৌশলগত সমন্বয় সাধন করতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

কক্ষপথে ক্রমবর্ধমান যানজটের মধ্যে মহাকাশ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুটি সংস্থার মধ্যে সরাসরি সমন্বয়ের প্রথম উদাহরণ এ ঘটনাটি ইতিমধ্যেই সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত তৈরি করেছে। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ পায় গত ২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল কংগ্রেস– আইএসি এর এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন দুটি দেশই কক্ষপথে তাদের উপস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধি করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক অন্যদিকে চীনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাংহাই স্পেসসেইল টেকনোলজিসের কিয়ানফান কনস্টেলেশন। এর মাধ্যমে পৃথিবীর শীর্ষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মহাকাশেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিষ্ঠান দুইটি ইতিমধ্যেই পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে হাজার হাজার স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে, যা ক্রমশ কক্ষপথে সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে চলছে। উক্ত পরিস্থিতি কার্যকর মহাকাশ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনাটি মহাকাশের পরিস্থিতি গত সচেতনতার প্রতি চীনের দৃষ্টিভঙ্গির একটি বিস্তৃত পরিবর্তনকে তুলে ধরে। চীনের এই দৃষ্টিভঙ্গি তাদের ২০২২ সালের মহাকাশ সম্পর্কিত শ্বেতপত্রে বর্ণিত প্রস্তাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চীনের ২০২২ সালের মহাকাশ সম্পর্কিত শ্বেতপত্রে ২০২৬ সালের মধ্যে কক্ষপথের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও মহাকাশ থেকে ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য প্রযুক্তি বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।

যদিও মার্কিন ‘উলফ অ্যামেন্ডমেন্ট’ নাসা ও চীনের বেশিরভাগ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে সীমাবদ্ধ করে। তবুও চীনের এই যোগাযোগ প্রমাণ করে, ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন স্বত্বেও, পৃথিবীর কক্ষপথকে নিরাপদ রাখার চ্যালেঞ্জ দুই শক্তিশালী মহাকাশ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটি নতুন ও বাস্তবসম্মত সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

এএইচ