জয়ের মুহূর্তটা ছিলো একেবারে অন্যরকম। শেষ উইকেটের পতন হতেই খুশিতে আত্মহারা গোটা স্টেডিয়াম। গ্যালারি থেকে শুরু করে সবুজ গালিচায় ছুটতে থাকা ক্রিকেটার সবাই মাতেন বিশ্বজয়ের আনন্দে।
কেউ হাসছেন, কারও চোখে আনন্দ অশ্রু। ততক্ষণে নাভি মুম্বাইয়ে বিশ্বজয়ের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে গেছে গোটা ভারতে। ভারতীয় মেয়েরাও দিলেন শিরোপার স্বাদ। লিখলেন নতুন সূর্যের গল্প।
নারী বিশ্বকাপে ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে ছিলো দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে যে দলই জিতুক বিশ্ব পাবে এক নতুন চ্যাম্পিয়ন। কারণ নিউজিল্যান্ড বাদে নারী বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার দাপট তো শুধুই অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের।
আরও পড়ুন:
ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়তে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাড়ি দিতে হবে লম্বা পথ। কারণ প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা প্রোটিয়াদের ছুঁড়ে দিয়েছে পাহাড় সমান লক্ষ্য। ২৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালোই করে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার।
তবে দলীয় ৫১ রানে ওপেনার তাজমিন ব্রিটস রান আউট হলে পাল্টে যায় চিত্র। এরপরের তিন ব্যাটার যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। একপাশ আগলে অধিনায়ক লরা উলভার্ডট ব্যাট করলেও বাকিরা দিতে পারেননি সঙ্গ। ৯৮ বলে ১০১ রানের মহা-গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। ২৪৬ রানে সবকটি উইকেট হারালে ৫২ রানে জয় পায় ভারত।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে ভারত। দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শাফালি ভার্মার ব্যাটিং নৈপুণ্যে কোনো উইকেট না হারিয়েই শত রান পূরণ করে স্বাগতিকরা। তবে বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকা মান্দানাকে ফেরান প্রোটিয়া স্পিনার ট্রায়োন। ফেরার আগে এই ওপেনার নিজের নামের পাশে যুক্ত করেন ৫৮ বলে ৪৫ রান। আরেক ওপেনার শাফালি খেলনে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
ভারতকে ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর জেমিমাহ রদ্রিগেজ। তবে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি এইদিন। ২৪ রান করে তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর। ২০ রান করে আউট হতে হয় তাকেও।
এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন দিপ্তি শার্মা। শেষ দিকে তার ৫৮ ও আমানজত করের ৩৪ রানে ভর করে ভারত পায় ২৯৮ রানের বড় পুঁজি। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন আয়াবোঙ্গা খাকা।





