ভয়াবহ বায়ু দূষণে দম নেয়াই যেন দায়! প্রতিবছরের মতো এবারও দীপাবলির পর বিষাক্ত বাতাসে হাঁসফাঁস অবস্থা দিল্লির জনজীবন। ২৯ অক্টেবরও ভারতের রাজধানীর বায়ুমান সূচক ৩০০-এর উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। যা খুব খারাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে করে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও গলা ব্যথার মতো সমস্যায় ভুগছে দিল্লির মানুষ।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো উচিত হবে না। বেশি করে পানি পান করা উচিত। আমি গত দুই থেকে তিন দিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এতে করে আমি চোখ জ্বালাপোড়া অনুভব করছি।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি। মাঝে মাঝে, মনে হয় এই সময়ে আমাদের সব কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়ে ঘরে থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকঢোল পিটিয়ে দিল্লির আকাশে দুই দফায় ক্লাউড সিডিং বা মেঘের বীজ ছড়িয়েও ব্যর্থ হলো বিজেপি সরকার। কয়েক দফায় কোটি কোটি রুপি খরচ করলেও; বায়ু দূষণ কমাতে ঝড়ানো সম্ভব হয়নি বৃষ্টি। এর জন্য বাতাসের কম আদ্রতাকে দুষছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি- আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
বিমান দিয়ে মেঘের বীজ বপনে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপি খরচ করে সফলতার দেখা না পেলেও থমকে যাচ্ছে না চেষ্টা। চেষ্টা চলছে পুরো শীতকালে ক্লাউড সিডিং অব্যাহত রাখার। জানা গেছে, প্রতিবার ক্লাউড সিডিংয়ে খরচ হবে ৬৪ লাখ রুপি। সেই হিসেবে ৪ মাসে ১২ বার কৃত্রিম বৃষ্টিপাতে মেঘের বীজ বপনে ব্যয় হবে অন্তত ২৫ কোটি রুপি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ কমাতে ক্লাউড সিডিংয়ে সরকার বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে বলে প্রত্যাশা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি- আইআইটির। বায়ু দূষণের এই প্রচেষ্টায় খরচ করা অর্থকে লোকসান হিসেবে দেখতে চায় না তারা।
ক্লাউড সিডিং হলো আবহাওয়া পরিবর্তনের একটি কৌশল। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুষ্ক অঞ্চলে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাতের জন্য করা হয়। এর জন্য ব্যবহার হয় বিমান ও ড্রোনের। যার মাধ্যমে মেঘের ওপর সিলভার আয়োডাইড, পটাশিয়াম আয়োডাইড বা শুষ্ক বরফের মতো রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। এই রাসায়নিক কণাগুলো মেঘের জলকণাকে একত্রিত হতে সাহায্য করে। যা সফল হলেই হয় বৃষ্টি।
দিল্লিতে প্রথম ক্লাউড-সিডিং পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। এরপর ১৯৭২ সালে আরেকবার এই প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। ক্লাউড সিডিং ট্রায়াল নিয়ে রয়েছে মিশ্র ফলাফলের ইতিহাস আছে বিশ্বজুড়ে।





