পরিশ্রম ও খরচ কম এবং দাম ভালো পাওয়ায় নওগাঁয় প্রতি বছরই বাড়ছে আখের আবাদ। খরচের প্রায় তিনগুণ লাভ হওয়ায় কৃষকের কাছেও চাষাবাদে বাড়ছে আগ্রহ।
রানীনগর উপজেলার চকমোন গ্রামের কৃষক দুলাল আকন্দ। খরচ কম ও দাম ভালো পাওয়ায় এবছর ৩ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তার খরচ হয় অন্তত ৩০ হাজার টাকা এবং বিক্রি হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকার আখ। খরচ বাদে তার লাভ থাকবে অন্তত ৩ লাখ টাকা। আবার সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করেও বিঘা প্রতি আয় করেন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
কৃষক দুলাল আকন্দ বলেন, ‘এক বিঘাতে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। এরমধ্যে আমরা শাক-সবজি লাগাই। এক বিঘা মাঠের আখ বিক্রি হয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো।’
আরও পড়ুন:
কৃষক দুলাল হোসেনের মতো অনেকেই আখ চাষ করছেন। কৃষকরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই কম থাকা এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের কারণে উৎপাদন ব্যয় কম হচ্ছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় আখ বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আখে রোগ-বালাই কম হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের থেকে আখের আবাদ ভালো হওয়াতে তারা আখের আবাদ করেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১৫ হেক্টর বেশি জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এছাড়া লাভবান হতে আখের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে আলুসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদের পরামর্শ দেয়া হয় বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘নওগাঁ জেলায় আমরা সাধারণত শুধুমাত্র আখ চাষ করতে নিষেধ করি। আখের সঙ্গে যেন আরও সাথী ফসল করে। ফলে তাদের কষ্ট উঠে আসবে, এটি লাভ হিসেবে থেকে যাবে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এ বছর ২১৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ও উন্নত জাতের আখ চাষ হয়েছে যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি।





