বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পান। বাঙালির আতিথেয়তা থেকে শুরু করে ধর্মীয় উৎসব, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সবখানেই রয়েছে এর বিশেষ কদর। আর পান চাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে উত্তরের জেলা পাবনায়।
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজ পাতার সমারোহে চাষ করা হয়েছে পান। এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে পাবনার আটঘরিয়া, চাটমোহর ও বেড়া উপজেলায়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।
আটঘরিয়া উপজেলার বরুলিয়া এলাকার পান চাষি ইকরাম হোসেন। এবছর তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন পান। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করলেও পানের দাম না পাওয়ায় হতাশ তিনি।
পান চাষি ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমাদের খুব খারাপ অবস্থা। পানের দাম নেই। শ্রমিকদের খরচ দিয়ে দেখা যাচ্ছে কিছুই থাকে না।’
আরও পড়ুন:
শুধু ইকরামই নন, অসংখ্য পান চাষিরই একই দশা। উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। গুণগত মান ভালো হওয়ায় বরজ থেকেই পান কিনে নেন অনেকে।
পান চাষিরা জানান, এবার বাজার খারাপ যাচ্ছে। পান চাষ করে চাষের খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে চাষিরা। তবে, পান চাষিদের কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
পাবনা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক বলেন, ‘পোকা মাকড় দমনসহ যত ধরণের কারিগরি সহায়তা আছে, সব ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দামের বিষয়টি নির্ভর করে ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের ওপর। উৎপাদন ভালো হয়েছে, তবে কৃষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে দামের বিষয়ে। কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ বিষয়ে আমরা পাশে রয়েছি।’
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর ৩৩ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৫৩ মেট্রিক টন।




