সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আশ্চর্য হওয়ার বিষয় হচ্ছে, তারা একটা টাইম লিমিট নির্ধারণ করে দিয়েছেন; ২৭০ পঞ্জিকা দিনের মধ্যে এসব সংস্কার প্রস্তাবগুলো গৃহীত না হলে অটোমেটিক সেটা সংবিধানে সংযুক্ত হবে। এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের কোনো বিষয় সংশোধিত হওয়ার পরে, এটা একটা আইন, সে আইনটা সংসদে যথাযথভাবে পাস হওয়ার পরে যখন স্পিকার সই করে রাষ্ট্রপতির কাছে দেবেন; রাষ্ট্রপতির সই হওয়ার পর সেটা তখন আইন হিসেবে পরিণত হবে। সেটা সংবিধান সংশোধন হোক বা অন্য আইন হোক। পরীক্ষায় অটোপাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না। এগুলো কীভাবে সুপারিশ, আসলে আমি জানি না।’
আরও পড়ুন:
‘তাছাড়া তাদের সংযুক্তিগুলোর মধ্যে একটা কলামে আমি দেখলাম, যেসব আর্টিকেলগুলো সংশোধিত হলে গণভোটের ব্যবস্থা আছে, সে গণভোটের ব্যবস্থার মধ্যে সেটা পরবর্তীতে সংশোধন হওয়ার পরে গণভোট হতে হবে। ওখানে আমরা কয়েকটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম সেগুলো সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু এখানে তো এ সব ইটার্নিটি ক্লজগুলোতে এখানে আছে, বেসিক ক্লজগুলো তো আছে, সেগুলো তো আমরা প্রস্তাব করেছি সংশোধনীর জন্য। তারপরে আর কোনো গণভোট লাগবে না, আরেকটা জায়গায় প্রস্তাব করছে যে, পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ লাগবে না। অথচ একটা ক্লজে বলছে লাগবে, আরেকটা সুপারিশের মধ্যে বলছে লাগবে না। এগুলো তারা কেন খেয়াল করেনি, আমি জানি না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধান তো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এ আইনগুলো সংশোধন এবং সুপারিশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আরও অনেক বিষয় আছে, এখানে কয়েকশো পৃষ্ঠার সংযুক্তি আছে। এগুলো দেখে আমরা খুব শিগগিরই কাল বা তার পরের দিন বিস্তারিত প্রেসের সঙ্গে কথা বলবো আশা করি।’





