এদিকে এরই মধ্যে পিলারের ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জের ‘আমাদের কামারখন্দ’ বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্প লাইনসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবি আজ (বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর) ভাইরাল হয়। ফেসবুকে হঠাৎ ভাইরাল হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি এগুলো ফাটল নয় বরং প্রচণ্ড গরমের কারণে সৃষ্ট হেয়ারক্রাক বা চুলাকৃতি ফাকা। যা ক্ষতিকারক নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে যমুনা রেল সেতু কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফ্রাঞ্চের অধিবাসী প্রকৌশলী মার্ক হ্যাবি এখন টেলিভিশনকে বলেন, ‘এটি আমাদের কাজের কোনো ত্রুটি নয়। এমনকি নির্মাণ ত্রুটির কারণে “হানিকম্ব” হয়েছে তাও নয়। প্রচণ্ড গরম বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেতুর নিচে শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র আকৃতির “হেয়ার কাট” বা “চুলাকৃতি ফাঁকা” সৃষ্টি হয়েছে। যা মোটেও সেতুর কংক্রিটের অবকাঠামো বা স্থাপনার জন্য ক্ষতিকর বিষয় নয়। রেজিন বা আঠার মিশ্রণ দিয়ে এগুলো একে একে রিপেয়ার করা হবে। এ ফাটল সেতুর কাঠামো বা ট্রেন চলাচলে কোন প্রভাব ফেলবে না।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘কে বা কারা একেবারেই অসৎ উদ্দেশ্যে ছবি তুলে কৌশলে বড় করে বা ফাঁকা স্থানগুলো আরও বড় দেখিয়ে বিশেষ উদ্দেশে যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।’
যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যায়ে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল অংশে ৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানে নির্মাণ করা হয় দেশের বৃহত্তম যমুনা রেলসেতু। চার দশমিক আট কিলোমিটারের এ সেতু ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয়।





