জগতের সব অন্ধকার কেটে যাবে, আলোয় উদ্ভাসিত হবে পৃথিবী। কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে প্রদীপের আলো ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি কোণে।
রাত পোহালেই দীপাবলি। নানা আয়োজনে অশুভ শক্তির বিনাশকারী মা কালীর আরাধানা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
দীপাবলি বা দিওয়ালিকে বলা হয় আলোর উৎসব। এদিন নিজেদের বসতবাড়ি-দোকান আলো দিয়ে সাজান সনাতন ধর্মাবলম্বরী। নানা ধরনের বাজি পোড়ানোর ধুম পড়ে যায় শিশুদের মধ্যে। প্রচলন আছে মিষ্টি বিতরণেও। ভারত, বাংলাদেশ, নেপালসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে উদযাপন হয় এ উৎসব। কোথাও কোথাও তা চলবে আগামী ৫ দিন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
অঞ্চলভেদে দীপাবলির সঙ্গে জড়িত নানা বিশ্বাস ও রীতিনীতি। দক্ষিণ ভারতে এ দিনটিকে রামের অযোধ্যায় ফিরে আসার দিন হিসেবে উদযাপন করা হয়। কথিত আছে এদিন, রাবণকে পরাজিত করে সীতাকে উদ্ধার করে অযোধ্যায় ফেরেন রামচন্দ্র।
ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ দীপাবলিকে বান্দি ছোড় দিবস বা মুক্তির দিন হিসেবে উদযাপন করে। আর নেপালের কয়েকটি সম্প্রদায় দিনটিকে সম্রাট অশোকের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের যোগসূত্র সৃষ্টির দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
এদিকে, রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে দীপাবলি আর ধনতেরাস উপলক্ষে স্বর্ণ কেনার হিড়িক লেগেছে ভারতে।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘অনেকেই তাদের পুরনো স্বর্ণালঙ্কার বদল করছেন, স্বর্ণের দাম এত বেশি যে, মানুষ নতুন গহনা কেনার সামর্থ্য হারিয়েছেন। ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্রেতা পুরনো স্বর্ণের বিনিময়ে নতুন স্বর্ণ নিচ্ছেন।’
তবে বাড়তি দামের কারণে অনেকেই পুরনো গয়না ভেঙে গড়িয়ে নিচ্ছেন নতুন গয়না। সাধ্যের মধ্যে না পেলে কিনছেন রূপার গয়না। পাঁচ দিন ধরে চলা দীপাবলি উৎসবের প্রথম দিন ধন ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস উদযাপনের রীতি আছে। আর ধনতেরাস উপলক্ষে সোনা বা রূপার গয়না ও নতুন পাত্র কিনে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
বিক্রেতারা বলছেন, দোকানে ভিড় থাকলেও গেলো বছরের তুলনায় এ বছর ধনতেরাসে স্বর্ণ বিক্রির হার কমেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। কারণ গেলো ধনতেরাসের তুলনায় এ বছর দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। উচ্চমূল্যের কারণে বিক্রিত পণ্য থেকে যে দাম পাওয়া গেছে তা আগের বছরের চেয়ে বেশি।





