পাঁচবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজিত রাইলা ওডিঙ্গা ছিলেন কেনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং স্থায়ী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। একদলীয় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কারাবরণও করেছিলেন রাইলা।
কয়েক দশক ধরে কেনিয়ার রাজনীতির কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। সাবেক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে জোট গঠন করে, এক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের লুও সম্প্রদায়ের ও রাজধানী নাইরোবির মানুষ তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করত।
সমর্থকদের কাছে বাবা হিসেবে পরিচিত এ নেতা গত (বুধবার, ১৫ অক্টোবর) ভারতের কেরালার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার তার মরদেহ কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এসময় তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসে হাজার হাজার সমর্থক। বিপুল জনতার ভিড়ের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
অপ্রত্যাশিত জনসমাগমের কারণে ওডিঙ্গার মরদেহ জনসাধারণের দেখার জন্য সংসদ ভবনের ভেতরের পরিবর্তে কাসারানি পাড়ায় অবস্থিত নাইরোবির মোই আন্তর্জাতিক স্পোর্টস সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়। মরদেহ পৌঁছানোর কয়েক মিনিট পর বিশাল জনতা স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মলেনে কেনিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতি জানান, শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানিকতা শেষে, রাইলার প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবে জনসাধারণ। তবে ওই সংবাদ সম্মেলনে হতাহতের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
এরপর শনিবার তার মরদেহ পশ্চিম কেনিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদের তীরে অবস্থিত কিসুমু শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৯ অক্টোবর কিসুমু থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে বোন্ডোতে তার খামারে তাকে সমাহিত করা হবে। তার আগে জনসাধারণ রাইলার মরদেহ শেষবার দেখার সুযোগ পাবেন।





