স্নায়ুচাপ, ঝড়ো হৃদস্পন্দন এরপর হার্টব্রেক। ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে যে স্বর্ণা জ্যোতিদের দিয়েছিল লড়াইয়ের পুঁজি, সেই স্বর্ণার হাতেই জয় ফসকে গেছে বাংলাদেশের।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝিলিক ও পিংকির ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৩ রান আসে। আগের ম্যাচের শক্তিশালী ভারতকে রুখে দেয়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটি দারুণ শুরুই বলা যায়।
চমৎকার স্টার্ট পেয়ে শারমিন আক্তার সুপ্তা ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ব্যাটে একটু একটু করে বড় স্কোরের পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ। জ্যোতি ৩২ রান করে আউট হলেও দায়িত্বশীল ফিফটি করেছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা।
তবে ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়া ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে জ্যোতিদের ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বর্ণা আক্তার। ৩ চার ৩ ছয়ে সাজানো ইনিংসে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। স্বর্ণার সৌজন্যে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
বোলিংয়ের শুরুতেই নাহিদা আক্তারের ব্রেক-থ্রু। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে তাজমিন ব্রিটসকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নাহিদা।
লরা উলভার্ট ও আন্নি বোশস ৫৫ রানের জুটি ভাঙে রান আউটে জ্যোতি-ফারজানার চমৎকার বোঝাপড়ায়। এরপর টাইগ্রেস স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে মারিজান কাপ ও ক্লোয়ি ট্রাইওনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আফ্রিকা।
মারিজান কাপকে স্বর্ণার ক্যাচ বানিয়ে প্রায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ম্যাচে আবারো প্রাণ ফেরান সেই নাহিদাই। আর টাইগ্রেসদের বিষফোঁড়া হয়ে উইকেটে টিকে থাকা ক্লোয়ি ট্রাইওন রান আউট রিতু মনির গোল্ডেন আর্ম থ্রো-তে।
হাতের মুঠোয় চলে আসা ম্যাচে স্নায়ুচাপ বাড়ায় নাদিন ডি ক্লার্কের ইমপ্যাক্ট ইনিংস। তাকেও ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে স্বর্ণার হাত পিছলে আবারো তীরে এসে তরী ডোবানোর তিক্ত স্বাদ নিতে হলো জ্যোতিদের।
ফসকে যাওয়া ওই এক ক্যাচে ম্লান পুরো ম্যাচে সম্মিলিত ও ব্যাক্তিগত বীরত্ব গাঁথা। আরও একবার জয়ের ভিত গড়েও সঙ্গী আক্ষেপ।





