চোখে মুখে উচ্ছ্বাস নিয়ে মহিষের পিঠে উঠে বাঁশির শব্দ শোনার অপেক্ষা। গ্যালারিতে টান টান উত্তেজনা, কেউ মুঠোফোনে স্মৃতি বন্দি করার অপেক্ষা। প্রতিযোগিতা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মহিষ নিয়ে ছুটে চলছে রাখলরা।
থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চোনবুরি প্রদেশ। ব্যাংকক থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে, আয়োজন করা হয় বার্ষিক মহিষ দৌড় উৎসবের। আয়োজনের শুরুতেই শহর জুড়ে চলে বর্ণিল কুচকাওয়াজ। যেখানে অংশ নেন স্থানীয়রাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শনার্থীরাও।
প্রতি বর্ষায় ফসল ঘরে তোলার পর এমন বিশেষ উৎসবের আয়োজন করে থাকে থাইল্যান্ডবাসী। কাদা মাটিতে মহিষের দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে ভিড় জমান ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষ। আয়োজকরা জানান উৎসবে, কৃষকের আনন্দ আর নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন তারা।
আরও পড়ুন:
আয়োজকরা বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে আমরা ঘাবড়ে যাই না কারণ আমরা ক্রমাগত অনুশীলন করে আসছি, আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আমরা প্রায় সারা বছর মহিষে চড়েছি। উৎসবটি বছরে মাত্র একবার অনুষ্ঠিত হয়। তবে চোনবুরি প্রদেশের প্রতিটি উপজেলায় নিয়মিতভাবে অন্যান্য দৌড় প্রতিযোগিতা সারা বছর আয়োজন করে আসছে।’
কৃষকরা বলেন, ‘আমরা কৃষক। অতীতে, মহিষগুলো কৃষিজমি তৈরিতে ব্যবহৃত হত, কাঠ টেনে আনত। পশুদের সঙ্গে আমাদের বিশেষ বন্ধন রয়েছে। আমরা ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলাম। যদি আমরা এটি চালিয়ে না যাই, তাহলে তরুণ প্রজন্ম এটি সম্পর্কে জানতে পারবে না এবং ঐতিহ্যটি অদৃশ্য হয়ে যাবে।’
একজন প্রতিযোগী বলেন, ‘আমি কখনও কোনো প্রতিযোগিতা মিস করি না, আমি সর্বদা এটি দেখতে আসব। চোনবুরি সর্বদা তার বিভিন্ন জেলায় এ দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। চোনবুরিতে বিজয়ী মহিষের মূল্য দশ লাখ বাথ পর্যন্ত হতে পারে।’
থাইল্যান্ডে প্রতিবছরই আয়োজন করা হয় মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতার। উৎসবের মাধ্যমে কার মাহিষ হালচাষের জন্য কতোটা দক্ষ সেটাও পরখ করে নেন কৃষকরা।





