হংকং-চায়না ম্যাচ হারে কাঠগড়ায় বাংলাদেশের ডিফেন্স-ট্যাকটিক্স, আক্ষেপ সাবেকদের

বাংলাদেশের ম্যাচের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন সাবেক ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য
বাংলাদেশের ম্যাচের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন সাবেক ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য | ছবি: এখন টিভি
0

আরও একবার তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশের। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে হংকং, চায়নার বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। এ হারে ডিফেন্সের ব্যর্থতাকে দুষছেন সাবেক ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য। এটিকেই হারের মূল কারণ বলে মনে করছেন তিনি। সঙ্গে জিকোর মতো অভিজ্ঞ গোলকিপারদের ঘরোয়া লিগে নিয়মিত খেলানোর তাগিদ দিলেন তিনি। এছাড়া কোচের ট্যাকটিক্সেরও পরিবর্তন চান তিনি।

বুক চিতিয়ে লড়াই করেও শেষ মুহূর্তের গোলে আরেকবার স্বপ্নভঙ্গ। হামজা-শমিত- জায়ানদের প্রাণান্ত চেষ্টার পরও দিন শেষে সঙ্গী হলো একরাশ হতাশা।

এএফসি এশিয়ান কাপে নিজেদের ঘরের মাঠে হংকং, চায়নার বিপক্ষে ৪-৩ গোলের হার। ঘরের মাঠে লেখা হলোনা অধরা জয়ের গল্প।

চলতি আসরে ৩ ম্যাচে জয়হীন টিম বাংলাদেশ। হামজার গোলে গ্যালারিতে আনন্দের বন্যা বইলেও ডিফেন্ডারদের পারফরম্যান্স ছিলো তলানিতে।

বল ক্লিয়ারেন্স কিংবা জমাট রক্ষণ সামলানোর ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটুভাবে ফুটে উঠেছে ডিফেন্ডারদের দুর্বলতা। দ্বিতীয়ার্ধেও হাই ডিফেন্ডিং ছিলো পুরোপুরি অনুপস্থিত। সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব জানালেন হারের মূল কারণ।

সাবেক ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘তপুর মতো একজন খেলোয়াড় থাকলে হয়তো পেছন থেকে নেতৃত্ব দিতে পারতো। আমরা গোল করার পরই লো-ব্লকে চলে গেছি, প্রথমার্ধের পর থেকেই চিন্তা করা উচিত ছিল যে, আমরা কীভাবে ব্লক করি।’

আরও পড়ুন:

রক্ষণের পাশাপাশি হয়েছেন বাজে খেলার উদাহরণ গোলকিপারও। তাই জিকোর মতো অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত গোলকিপারদের পুনরায় জাতীয় দলের পাইপ লাইনে আনার তাগিদ দিলেন সাবেক এ ফুটবলার।

বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘জিকোর মতো গোলরক্ষক আসা উচিত। যেমন এখন আমাদের অনেক গোলরক্ষক শ্রাবনরা আসছে, জিকোর মতো একটা ম্যাচ্যুর্ড গোলরক্ষকও আসা উচিত। মিতুলও ভালো গোলরক্ষক, সে ভালো খেলছে। তবে জিকোর মতো গোলকিপার হারিয়ে যাক তা তো আমরা চাই না।’

শুরুতে কিছুটা এলোমেলো থাকলেও জামাল, শোমিত, ফাহমিদুলদের নামানোর পর খেলার ধার বাড়ে বাংলাদেশের। অভিষিক্ত জায়ান আহমেদও ছিলেন দুর্দান্ত। কিন্তু ট্যাকটিকালি কোচের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

বিপ্লব বলেন, ‘কোচ দলকে নিয়ে অনেক সময় পেয়েছে এবং অনেক ভালো প্রোফাইলের খেলোয়াড় আছে। ওদের শক্তি বা দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছে, এতবার কাজ করার পর যখন আমরা ধারবাহিকভাবে ভুল করবো, তখন এত বড় ম্যাচে ব্যাক করাটা অনেক কঠিন।’

এই হারে তিন ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের পর সিঙ্গাপুর ও হংকং, চায়নার কাছে টানা দুই ম্যাচে হার।

আগামী ১৪ অক্টোবর হংকং, চায়নার মাঠে কিছুটা ব্যাকফুটে থেকেই শুরু করবে হামজারা। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে পরাজয়ের তিক্ততা পোড়াবে লাল-সবুজদের।

এসএইচ