শেষ মুহূর্তের হারে হতাশ জামাল, প্রশ্ন তুললেন কোচের সিদ্ধান্তে

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামাল ভূঁইয়া
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামাল ভূঁইয়া | ছবি: এখন টিভি
0

হংকং, চায়নার বিপক্ষে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পরাজয়ের মুখ দেখে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এই হারের পর দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মতোই হতাশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ফিরতি লেগের জন্য দেশ ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জামাল কোচের সিদ্ধান্তের ‘সমালোচনা’ করে বলেন, ‘আমি যখন না খেলি, সেটা তো ভুল।’ তার এ মন্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ম্যাচের শুরুতে তাকে একাদশে না রাখার সিদ্ধান্ত দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে।

প্রথমার্ধের প্রায় নিখুঁত বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর এক জাদুকরী মুহূর্তে বাংলাদেশের লিড ১-০ গোলে। এরপর নিজেদের ডিফেন্স আর আক্রমণের ভারসাম্য রেখে হংকং চায়নার বিপক্ষে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। 

কিন্তু সেখান থেকে নিজেদের ভুলেই একের পর এক গোল হজম। ম্যাচের পরের গল্পটা জানা সবারই। চার বদলি ফুটবলারের কল্যাণে এক দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প প্রায় লিখেই ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সেকেন্ডের গোলে ৪-৩ গোলের হার জামাল-হামজাদের।

ম্যাচ হারের ক্ষত নিয়েই ফিরতি লেগের উদ্দেশে হংকং যাত্রা। যাওয়ার আগে অধিনায়ক জামালের মুখে কোচের সিদ্ধান্তের কিঞ্চিত সমালোচনা। শুরুর একাদশে না থাকার ব্যাপারে কোচের সিদ্ধান্তকে নিজের দৃষ্টিতে ভুল বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।

জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি বলবো আমি যখন না খেলি, সেটা তো ভুল। আমি তো আসলে সব ম্যাচ খেলতে চাই। তবে দিন শেষে কারা খেলবে, সেটা কোচের সিদ্ধান্ত। তবে আমি খেলতে চাই।’

আরও পড়ুন:

জামাল মাঠে নেমেছিলেন শমিত আর ফাহামিদুলকে সঙ্গে নিয়ে। খানিক পরেই তাদের সঙ্গী হন জায়ান আহমেদ। চার প্রবাসীই শুরুর একাদশে থাকতে চান বলে জানালেন বাংলাদেশের কাপ্তান।

জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আসলে যখন আমি, জায়ান, শোমিত, ফাহমিদুল ওয়ার্ম-আপ শুরু করছি তখন, একসঙ্গেই শুরু করছি। তো আমি ওনাকে (কোচ) বলেছি, আমরা ম্যাচে নামবো। আমাদের দলে পরিবর্তন আনতে হবে। অবশ্যই আমাদের চারজনের ইম্প্যাক্ট ভালো ছিল। আমরা স্টার্টিং ইলাভেনে খেলতে চাই।’

দলের ম্যানেজার আমের খানের কণ্ঠেও হতাশা। তবে হংকং থেকে ফিরতি লেগে জয় নিয়ে ফিরতে চান বলে জানালেন জাতীয় দলের এই ম্যানেজার। যদিও হংকংয়ের ঘরের মাঠে কাজটা কঠিন বলেই মানেন তিনিও।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘এখন আসলে বলার কিছু নেই। ছেলেরা যারা যাচ্ছে, আশা করছি ওখানকার পরিবেশ ওদের অনুকূলে থাকবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন আমরা সেখান থেকে ভালো রেজাল্ট আনতে পারি।’

ঘরের মাঠে হংকং চায়নার কাছে এই হারের ফলে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। তবু নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা বাংলাদেশের অধিনায়ক এবং ম্যানেজারের।

তবে সব ছাপিয়ে কোচ ক্যাবরেরা আর কতদিন বাংলাদেশ ফুটবলের ডাগআউটে থাকবেন, সেটাই এখন দেশের ফুটবল ভক্তদের কাছে বড় প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, হংকং, চায়নার বিপক্ষে এ পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তন না হলেও হংকং, চায়না ৭ পয়েন্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলে উঠে গেছে টেবিলের শীর্ষে।

প্রত্যেক দলের ৩ ম্যাচ শেষে 'সি' গ্রুপে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে সিঙ্গাপুর এবং ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ভারত। ১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।

এসএইচ