মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৫তমবারের মতো শাটডাউন দেখলো মার্কিনীরা। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদে এটি দ্বিতীয়বার। সরকারি ব্যয় তহবিল পাশ করতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের ব্যর্থতায় আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ হতে যাচ্ছে বেশকিছু ফেডারেল প্রতিষ্ঠান।
সামাজিক নিরাপত্তা, মেডিকেয়ার সুবিধা, খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি এবং ফেডারেল-অর্থায়নে পরিচালিত প্রাক-বিদ্যালয় এবং স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।
বেশিরভাগ আমেরিকান স্কুল রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যেখানে ফেডারেল সরকার কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে থাকে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে এ অনুদান দেয়া হয়। তাই শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, শাটডাউনের প্রভাব খুব একটা পড়বে না শিক্ষাখাতে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এবং জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মতো বেশ কয়েকটি সংস্থা অনেক কর্মীকে ছুটিতে পাঠাতে পারে, যার ফলে চলমান গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হতে পারে।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শাটডাউনের কারণে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফেডারেল কর্মীর ৪০ শতাংশই বিনা বেতনে ছুটিতে থাকবেন। শাটডাউন ঘোষণার পরপরই কর্মী ছাঁটাইয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছিলো হোয়াইট হাউজ।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যরোলিন লেভিট বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ডেমোক্র্যাটরা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রীসভা ও বাজেট অফিসকে বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো কোনা খাতের কর্মী ছাঁটাই করা যায় তা চিহ্নিত করতে।’
আরও পড়ুন:
শাটডাউনের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আর নিউইয়র্কের মেয়র ক্যাথি হোচুল জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দলের অবহেলার কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু কর্মীর সাথে কী করা হবে সে বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শাটডাউন চলমান থাকলে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেমোক্র্যাটরা, যদি তারা আমেরিকান জনগণের উপর শাটডাউনের প্রভাব সম্পর্কে চিন্তিত হন, তাদের উচিত সরকার পুনরায় চালু করা।’
পাল্টাপাল্টি দোষারোপের মধ্যে মার্কিন শ্রমবিভাগ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবারের (৩ অক্টোবর) মধ্যে অচলাবস্থা না কাটলে , গেল সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদেরও ছাঁটাই করা লাগতে পারে।
আর শাটডাউন ঘোষণার পর এরইমধ্যে আংশিক বন্ধ হয়ে গেছে সান দিয়াগোর ক্যাব্রিয়াল মনুমেন্ট। পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও কর্মীদের জন্য বরাদ্দ আবাসিক ভবন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে জরুরি সেবা হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট, চিকিৎসা সেবা এবং বিমান ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা স্বাভাবিক নিয়মে কাজ চালিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।





