তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। নানা ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টার পরও আমাদের সম্প্রীতির শেকড় কখনো উপড়ে ফেলা যায়নি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, আর সব জাতীয় ইভেন্টে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছি, একতাবদ্ধ হয়েছি। বারবার প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশের শক্তি হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘কোনো ধর্মই বিভেদ শেখায় না। ধর্ম আমাদের শেখায় ভালোবাসা, সহানুভূতি আর সহমর্মিতা। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই একই পরিবার—বাংলাদেশ পরিবার। আজকের এই শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের সম্প্রীতিরই আরেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা চাই, পূজার আনন্দ যেন নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিটি পূজা মণ্ডপকে আনন্দ ও শান্তির কেন্দ্রস্থলে রূপান্তরিত করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের এই প্রেক্ষাপটে আমাদের দায়িত্ব আরও বড়—আমরা সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ব, যেখানে কোনো নাগরিক ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বৈষম্যের শিকার হবে না। বরং আমরা সবাই হবো একে অপরের আনন্দ ও দুঃখের সাথী।’ আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহবানও জানান তিনি।





