তিনি বলেন, ‘একজন বাংলাদেশি হিসেবে এর ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’
পবিত্র হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়— এ ধরনের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী সতর্ক করে দিয়েছেন এবং বলেছেন, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা করা নৈতিক দায়িত্ব। তবে শারদীয় উৎসবকে ঘিরে কেউ যাতে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা উৎসাহ-উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।’
তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন, বিএনপি বিশ্বাস করে— ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।’
সবশেষে তিনি নিজে এবং বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।





