চুইংগাম নিয়ে যেসব তথ্য হয়তো জানেন না!

চুইংগাম
চুইংগাম | ছবি: সংগৃহীত
1

চুইংগাম কখনো খাননি কিংবা খেতে পছন্দ করেন না, এমন কেউ কি আছে? বলা যায় মোটামুটি সবারই শৈশবজুড়ে আছে চুইংগামের স্মৃতি। মুখের জড়তা কাটানো থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের মানসিক চাপ কমাতে চুইংগামের রয়েছে কার্যকর ভূমিকা। শুধু আধুনিক যুগেই নয়, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগেও বিভিন্ন সভ্যতায় চুইংগামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

ফ্যাশন কিংবা ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে অহরহ চুইংগাম খাওয়া যেনো আধুনিক স্মার্টনেস। তরুণদের অনেকেই সাবলীল পোশাক আর নজরকাড়া লুকের সঙ্গে এর যোগসূত্র পান। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এর রয়েছে বেশ কিছু গুণাগুণ।

একটি চুইংগাম আপনার দাঁতকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। তবে তা হতে হবে চিনিমুক্ত। কারণ এতে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হওয়ায় দাঁতের ক্ষয় হওয়ার প্রবণতা কমে আসে। আবার যাদের নিয়মিত পান বা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের চুইংগাম চিবানো উচিত। কারণ এতে দাঁতে দাগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, একইসঙ্গে মনকে শান্ত রাখতে পারে। দুশ্চিন্তায় মুখ ও ঘাড়ের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। তখন চুইংগাম চাবালে মাংসপেশির নড়াচড়া বাড়ে। যা এক ধরনের ব্যায়ামও। এ প্রক্রিয়ায় রক্ত চলাচল বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়।

চুইংগাম একদিকে যেমন মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, অন্যদিকে মনোযোগও বাড়ায়। অনেক সময় কাজ করতে করতে বিষণ্ণ লাগে। তখন প্রাণবন্ত হয়ে উঠার কার্যকরী উপায় হতে পারে চুইংগাম।

আরও পড়ুন:

চুইংগাম চিবিয়ে খেলে মুখমণ্ডলের জো লাইন শার্প হয় এবং দেখতেও বেশ আকর্ষণীয় লাগে। আবার এর মাধ্যমে প্রচুর ক্যালরি বার্ন হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।

কথা বলায় জড়তা দূর করতেও ভালো কাজ করে চুইংগাম। বেশি বেশি চুইংগাম চিবিয়ে খেলে মুখ ও জিভ অনেক সক্রিয় হয়ে উঠে। যার ফলে জড়তা কমে আসে। অনেক ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও বেশ কার্যকর চুইংগাম।

ম্যাচ চলাকালীন সময় প্লেয়ারদের মুখে অবশ্যই চুইংগাম দেখেছেন। এটি নিয়ে অনেকের কৌতূহলও বেশ। মূলত স্নায়ুচাপ কমানো ও দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখতেই খেলোয়াড়রা মাঠে চুইংগাম খেয়ে থাকেন। যা তাদের পারফরম্যান্সেও বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এই চুইংগামের কিন্তু লম্বা এক ইতিহাসও রয়েছে। ফিনল্যান্ডের কিইরি অঞ্চলে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চুইংগামের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। নিওলিথিটিক যুগে চুইংগামের প্রচলনের কথা জানা যায়। প্রাচীন গ্রিসেও গাছের রজন থেকে তৈরি এক ধরনের আঠা চিবানো হতো। প্রাচীন আমলেও দাঁত ব্যথার জন্য গাছের ছাল চিবানোর কথা জানা গেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সভ্যতায় চুইংগামের উল্লেখ পাওয়া যায়। পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। আর প্রথম আধুনিক চুইংগাম তৈরি হয় ১৮৬০ এর দশকে।

এফএস