নোয়াখালী পৌর এলাকায় দিন দুপুরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে টোল আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি। যেখানে সড়কের প্রায় ১৩টি স্থান থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কয়েক লাখ টাকা।
প্রশাসনের নাকের ডগায় টোলের নামে এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যানবাহন চালকরা। তাদের অভিযোগ, টাকা দিতে না চাইলে গাড়ি আটকে রাখা ও মারধরের শিকার হতে হয় তাদের।
যানবাহন চালকরা জানান, পৌরসভার নাম করে তাদের থেকে টাকা নেয়া হয়। তবে কেন এ টাকা নেয়া হচ্ছে জানে না তারা। টাকা না দিলে মারধর করার হুমকিও দেয়া হয় তাদের।
পৌরসভার টোল আদায়ের নামে এসব টাকা তোলা হলেও মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম। শর্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত রাস্তায় চলমান যানবাহন থামিয়ে যত্রতত্র টোল আদায় করা যাবে না। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন সেটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো আদায় করছেন টাকা।
আরও পড়ুন:
নোয়াখালী পৌরসভার তথ্য মতে, সিএনজি থেকে আদায়কৃত টোল হার দশ টাকা হলেও নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম। ‘পৌরসভার টোল আদায়কারী’ পরিচয়ে যে পোশাক পরে সড়কে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে সেটিরও নেই কোনো অনুমতি।
টোল আদায়কারীরা জানান, স্ট্যান্ড থেকে টোল আদায়ের কথা বলা হলেও তারা সড়ক থেকে টোল নিয়ে থাকে। কারণ নোয়াখালীতে নিদিষ্ট কোনো নির্ধারিত সিএনজি স্ট্যান্ড নেই।
নোয়াখালী পৌরসভার মালিকানাধীন সোনাপুর আধুনিক বাস টার্মিনালটি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইজারা নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। সড়কে চাঁদাবাজি ও ইজারার শর্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এদিকে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পৌর কর্তৃপক্ষের।
নোয়াখালী পৌরসভা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, ‘নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্ধারিত জায়গা ব্যতীত মহাসড়কে কোনো জায়গা থেকে টোল নেয়া যাবে না। নির্ধারিত স্থানের বাহিরে টোল আদায় করা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
সোনাপুর আধুনিক বাস টার্মিনালটি চলতি বছরের জন্য ২৩ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়।





