এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত স্বামীকে ভর্তি করান মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালের আইসিইউতে, এরপর ঠিক ৫ দিন পর খোদ নিজেও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ভর্তি আছেন একই হাসপাতালে।
রোগীদের একজন বলেন, ‘ঠাণ্ডা, মাথা ব্যথা আর হচ্ছে জ্বর। এখন রক্তও কমে গিয়েছে।’
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে দ্বিগুণহারে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য ভর্তির হারও এবার বেশি। যারা ভর্তি হচ্ছেন তারা বেশিরভাগই পানিশূন্যতা, মাথা ব্যথা, বমি এবং তীব্র জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছেন।
রোগীর স্বজনরা বলছেন, মশা বাড়লেও সিটি করপোরেশন থেকে মশা নিধনে নেই কার্যকরী পদক্ষেপ।
স্বজনদের একজন বলেন, ‘মশার ওষুধ দেয় না।’
আরও পড়ুন:
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৬০ ছুঁই ছুঁই। চিকিৎসকরা বলছেন, দেরিতে হাসপাতালে আসায় দ্রুত শক সিন্ড্রোমে চলে যাওয়ায় মৃত্যু বাড়ছে।
এছাড়া দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলেও জানান তারা।
ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, ‘যারা একবার আক্রান্ত হয়েছে তার জন্য চিন্তার কোনো কারণ নেই ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। তার জন্য ঝুঁকি আরও বেশি রয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঢাকাসহ সারাদেশেই এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স বেশি হওয়ায় অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়বে। তাই দ্রুত ডেঙ্গুর হটস্পট ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
কীটতত্ত্ব কবিরুল বাশার বলেন, ‘এখনই ডেঙ্গুর হটস্পট ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিতে হবে। ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ২০০ মিটারের আশেপাশে কোনো মশা বেঁচে না থাকে সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।’
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের।





