ব্যালন ডি’অর! ফুটবলারদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার। শুরুতে যে পুরষ্কার শুধুই ইউরোপের ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ ছিলো, সময়ের পরিক্রমায় সেটা হয়ে ওঠেছে সার্বজনীন! ১৯৫৬ সালে ইংলিশ তারকা ফুটবলার স্ট্যানলি ম্যাথিউস থেকে শুরু। আর সবশেষ ২০২৪ এ পুরষ্কারটি হয়ে ওঠেছে ম্যানসিটির স্প্যানিস তারকা রদ্রির হাতে।
ফরাসী সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবলের উদ্যোগে মাঝের সাত দশকে ব্যালন ডি’অর ফুটবলারদের কাছে হয়ে উঠেছে পরম আরাধ্য। আর বেশিরভাগ আলোচক-সমালোচক আর ফুটবলপ্রেমীরা ব্যালন ডি’অরকে বেছে নিয়েছে ফুটবলারদের মানদণ্ড মাপার মাপকাঠি হিসেবে।
আরও পড়ুন:
কিংবদন্তী ফুটবলাররা ব্যালন ডি’অরকে মানদণ্ড মাপার মাপকাঠি বিষয়টা বিনয়ের সাথে এড়িয়ে গেলেও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন ব্যালন ডি’অর জেতাটা ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট। জিনেদিন জিদান, রোনালদো, রোনালদিনহোরা আরাধ্য সেই স্বর্ণালি পদক স্পর্শ করেছেন তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসিরা এটিকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
ক্যারিয়ারের অপরাহ্ণে মেসি-রোনালদো। সময়ের দাবি মেনে ফুটবলও বিশ্বকে উপহার দিয়েছে নতুন তারকা। যেখানে নাম লিখিয়েছেন উসমান দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রাফিনিয়া কিংবা লামিনে ইয়ামালের মতো তারকারা। এই দৌড়ে আছেন পোড় খাওয়া মোহাম্মদ সালাহও। ২০২৫ ব্যালন ডি'অর জেতার লড়াইটা দারুণ প্রতিভাবান তারকাদের মধ্যেই। তবে নৈপুণ্য আর সাফল্যে সবার চেয়ে এগিয়ে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জেতানো উসমান দেম্বেলে।
লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পিএসজির সাফল্যের অন্যতম রূপকার দেম্বেলে ২৪-২৫ মৌসুমে ৩৫ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করছেন ১৬ গোলে। লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ, বার্সা সতীর্থ ইয়ামাল-রাফিনিয়া কিংবা মাদ্রিদ তারকা এমবাপ্পেরাও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল। কিন্তু দলীয় সাফল্যে দেম্বেলের তুলনায় ঢের পিছিয়ে। তাই নাটকীয় কিছু না ঘটলে ২০২৫ এর ব্যালন ডি'অর নাইট হতে যাচ্ছে দেম্বেলের আলোয় উজ্জ্বল। তবে ব্যালন ডি’অরের ৭ দশকের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থবার মৌসুম বিবেচনায় নির্ধারণ করা হবে সেরা ফুটবলার। সেক্ষেত্রে পাল্টে যেতে পারে সব হিসেব-নিকেশ।





