আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেন, ‘শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে আমি আজ অসাধারণ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কানাডা। একইসঙ্গে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।’
২০১২ সালের নভেম্বর থেকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জায়গা পেলেও আজও সদস্য নয় ফিলিস্তিন। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা ইসরাইলি বর্বরতার মুখে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪৭টি, অর্থাৎ ৭৬ শতাংশের এর বেশি সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে।
আরও পড়ুন:
২৩ মাস ধরে চলতে থাকা হত্যাযজ্ঞে ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি, পশ্চিম তীরে সহিংস অবরোধ, একের পর এক প্রতিবেশী দেশে হামলা, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি চরম উপেক্ষা দেখালেও ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার প্রশ্নে এখনও নীরব বিশ্ব রাজনীতিতে প্রতাপশালী দেশগুলো।
তবে আগ্রাসন সীমা ছাড়ানোয় বিশ্বজুড়ে তোপের মুখে সম্প্রতি নড়েচড়ে বসতে শুরু করে ইউরোপের দেশগুলো। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।
এছাড়া স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন ও সাইপ্রাসের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে পর্তুগাল, পরাশক্তিধর ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ কয়েকটি রাষ্ট্র ঘোষণার জোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।





