২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যার মুখে জীবন বাঁচতে পালিয়ে এসেছিলেন মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার কন্যা আসমা। আশ্রয় নেন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। তবে ৮ বছর পর সেই নিরাপদ আবাস থেকেই হারিয়ে গেলো তার মেয়ে, ফেরত পাঠানো হলো সেই মৃত্যুপুরী, মিয়ানমারে!
গেলো মে মাসে, নয়াদিল্লির শাহিনবাগে আশ্রয় নেয়া আসমা ও আরও ৩৯ জন রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক তথ্যের জন্য ডেকে পাঠায় ভারত সরকার। এরপর থেকে আর খোঁজ মিলছিলো না তাদের।
আরও পড়ুন:
তিন দিন পর একাধিক ফোন কলে জানা যায়, তাদের বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আন্দামান দ্বীপে। এরপর একটি জাহাজে করে সমুদ্রপথে নামিয়ে দেওয়া হয় মিয়ানমার উপকূলে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএ এর প্রতিবেদন বলছে ফেরত পাঠানো ৪০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নয়, দক্ষিণাঞ্চলের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আশ্রয় দিয়েছে। তবে নিরাপত্তাহীনতার ভয় থেকেই যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত সরকার গোপনে এ ৪০ রোহিঙ্গাকে বিচার ছাড়াই মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে, যা ভারতের নিজস্ব আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
ভারতের এমন আচরণকে মানবতা ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলছে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি। রোহিঙ্গারা ভারতীয় আদালতে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও, ভারত সরকার তাদের অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দেয়।




