শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বেড়ায় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলহাজ ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই হরতালের ডাক দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর ও বেড়া উপজেলার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তারপর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বেড়া উপজেলাবাসী। তারা পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার আংশিক) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শুধু সাঁথিয়া উপজেলা নিয়ে পাবনা-১ আসন আলাদা করা হয়েছে। আর বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, ‘আমরা ৫০ বছর ধরে পাবনা-১ আসন সাঁথিয়ার সাথে বেড়া উপজেলা মিলেমিশে আছি। দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। অথচ কি কারণে পাবনা-১ আসন থেকে বেড়া উপজেলাকে বাদ দিয়ে আমাদের পাবনা-২ আসনের সাথে দেয়া হলো তা বোধগম্য নয়। আমরা এটা মানি না। অবিলম্বে গেজেট বাতিল করে পাবনা-১ আসনকে পুনর্বহাল করতে হবে।’





