‘আজ বাংলাদেশের জয়; একটা ছবি সব পাল্টে দিল’

তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস | ছবি: প্রেস উইং
1

দিনভর দেশজুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আজকের বৈঠক। যে বৈঠকের পরই যেন পাল্টে যাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র— এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকেই।

বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে ‘বাংলাদেশের জয়’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তি ফিরেছে বলে মনে করছে দলটি।

আজ (শুক্রবার, ১৩ জুন) দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বহুল কাঙ্ক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শুরু হওয়ার পরপরই ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের করমর্দনের একটি ছবি প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায়, ড. ইউনূসের দুই হাতের মুঠোয় তারেক রহমানের ডান হাত।

আরো পড়ুন;

এ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি নিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেন। ছবিটি নিয়ে কেউ কেউ এই ছবিটির মধ্য দিয়ে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা দূর হচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজ সন্ধ্যায় এক বার্তায় বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে ছবিটি সংযুক্ত করে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। দুই ব্যক্তিত্বের করমর্দনের ছবিটি উল্লেখ করে যেখানে বলা হয় ‘আজ বাংলাদেশের জয়। একটা ছবি সব পাল্টে দিল।’

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। ‌দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

আরো পড়ুন;

এতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

তারেক রহমান এই অবস্থানকে স্বাগত জানান বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

এসএস